ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ শোধে আরও ছাড়
ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধে আরও ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বড় শিল্পের মেয়াদি ঋণে চলতি বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে যে পরিমাণ কিস্তি দেওয়ার কথা, তার ৫০ শতাংশ দিলে খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন এক সময়ে বড় ছাড় দিল, যখন ব্যাংকগুলোর আদায় বাড়তে শুরু করেছে। এর আগের নির্দেশনায় অন্তত ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ ছিল।
করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢালাও সুবিধার কারণে কেউ ১ টাকা পরিশোধ না করলেও খেলাপি হননি। ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ দিলেই ঋণ নিয়মিত দেখানো হয়েছে। চলতি বছরের জুনের এক নির্দেশনায় শর্ত সাপেক্ষে কিছু সুযোগ ঘোষণা করা হয়। শিথিলতার মধ্যেও প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ ৩১ হাজার ১২২ কোটি টাকা বা ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
রোববার প্রজ্ঞাপনে বৃহৎ শিল্পের মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের শর্ত শিথিল করে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাবে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এতে করে ঋণগ্রহীতাদের প্রকৃত আয় কমেছে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা এবং ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধ সহজ করতে মেয়াদি ঋণের বিপরীতে গত অক্টোবর থেকে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি করা যাবে না। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ঋণ পরিশোধ করলে চলবে। অপরিশোধিত অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। আবার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে এক বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণ করে নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে।