শীতকালকে বলা হয় ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে যথার্থ সময়। বাংলাদেশে সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি এ দু’মাস শীতকাল থাকে। আর এই দুই মাসে স্বাভাবিকভাবে মানুষের ভ্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়। শীতকালে প্রকৃতিজুড়ে একটা আরাম-আরাম আমেজ থাকে।
বিশেষ করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোয় শীতকালের আরামদায়ক আবহাওয়া যেন কিছুটা স্বস্তিই নিয়ে আসে জনজীবনে। তাই এসব অঞ্চলের মানুষ শীতকালকেই বেছে নেয় ভ্রমণের জন্য। তাছাড়া, দেহ ও মন সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ভ্রমণ খুব কার্যকর একটি উপায়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্রমণ, পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করার অন্যতম একটি মাধ্যমও হয়ে উঠতে পারে।
বছর শেষের এই সময়টায় বাচ্চাদের স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়, নতুন ক্লাসের সময় শুরু হওয়ার আগে কিছুটা সময় থাকে নতুন কোথাও ঘুরে আসার জন্য। সারাবছরের ক্লান্তিকর কাজ থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে তাই অনেকে বছরের এই সময়টা ভ্রমণের জন্য বেছে নেন। কোথাও থেকে ঘুরে এসে আবার নতুন বছরে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেন।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই ডিসেম্বরে আছে আনন্দের উপলক্ষ, কারণ ডিসেম্বরের ২৩-২৪ তারিখের নিয়মিত সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে এ বছর যোগ হচ্ছে ২৫ ডিসেম্বরের বড়দিনের ছুটি। তাই এর আগে বা পরে দুদিন ছুটি বাড়িয়ে নিতে পারলে অনেক দিন ধরে প্ল্যান করতে থাকা সেই বিশেষ ট্যুরটা এবার দিয়েই আসতে পারবেন আপনি!
শীতকালে ভ্রমণের প্রবণতা থাকায় টিকিট বা পরিবহন কোম্পানি ও হোটেলগুলো এ সময় নানা ছাড় দিয়ে থাকে। আর এই ছাড় উপভোগ করে ভ্রমণ করতে ট্যুর কোম্পানিগুলো দেয় বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ। সেখান থেকে অনেকে নিজের পছন্দ, সামর্থ ও সুবিধা অনুযায়ী ট্যুর প্যাকেজ বাছাই করে থাকেন। কিন্তু একটি যথার্থ ট্যুরের পরিকল্পনা আসলে খুব কঠিন ও বিরক্তিকর মনে হতে পারে। বিশেষ করে এখন ট্যুর-সংক্রান্ত সব সেবা অনলাইনে আসার পর অফলাইন থেকে এক-এক করে বাছাই করে ট্যুর পরিকল্পনা করা কারও কারও কাছে ভোগান্তি মনে হতে পারে।