কেন নিকৃষ্টতম সিনেমার তালিকায় এটি
মেরিলিন মনরোকে নিয়ে দর্শক, পরিচালক, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যদের আগ্রহ বরাবরই অন্য রকম। সেই আগ্রহ বাড়িয়ে দিতে কালজয়ী এই অভিনেত্রীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছিল বায়োপিক ‘ব্লন্ড’। সিনেমাটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে মূল বিভাগে প্রতিযোগিতা করে। শুধু তা–ই নয়, মনোনয়ন পেয়েছিল গোল্ডেন গ্লোবে। এ সিনেমাকেই সম্প্রতি নিকৃষ্টতম সিনেমার তালিকায় রাখা হয়েছে।
বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ভ্যারাইটি নিকৃষ্টতম সিনেমার তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ‘ব্লন্ড’ নিয়ে বলা হয়েছে, ‘আইকনিক স্টার মেরিলিন মনরোর চরিত্রে অভিনয় করা খুবই কঠিন কাজ। সেই কাস্টিং নিয়ে পরিচালক অ্যান্ড্রু ডমিনিক শুরু থেকে একটি সমস্যার মধ্যে ছিলেন। মনরোকে পর্দায় দেখে হতাশ হয়েছি। এই চরিত্রের মধ্যে তেমন গভীরতা ছিল না। অনেক দৃশ্যেই ডমিনিকের গল্পের গাঁথুনির জায়গাটা সহানূভূতিশীলভাবে দেখানো যেত।’
মনরো চরিত্রে অভিনয় করছেন অ্যানা ডে আর্মাস। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই মনরোর চরিত্র নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুই-ই ছিল। বেশির ভাগ সমালোচক সিনেমাটি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। সিনেমাটির আইএমডিবি রেটিং ৫.৫, যা তুলনামূলক অনেক কম। সেই সময় আর্মাস বলেছিলেন, ‘আমি জয়েসের উপন্যাস পড়েছি, তাঁর শত শত আলোকচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, অডিও রেকর্ড ও সিনেমা দেখেছি। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যই তাঁর কোনো না কোনো আলোকচিত্রের প্রেরণায় তৈরি। মনরোর জীবনের গল্প বলতে গিয়ে যা প্রয়োজন, সেটা আমরা করেছি। শুধু আমি একাই নই, এ ছবির সব অভিনয়শিল্পীই জানেন, আমাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’