ইরানকে সঙ্গে নিয়ে সার্বিয়া যেভাবে ইউরোপকে পরীক্ষায় ফেলেছে

প্রথম আলো নিকোলা মিকোভিচ প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৩৭

রাশিয়াকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়া এবং নিজ দেশের আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বলকান অঞ্চলে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আবেদন করলেও সার্বিয়া সাম্প্রতিক কালে ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।


ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য ইরানের সঙ্গে যেখানে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, সেখানে  ইসলামিক রিপাবলিক ইরানকে বন্ধুদেশ বলে মনে করছে সার্বিয়া। পক্ষান্তরে বলকান অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধিতে সার্বিয়া ইরানের জন্য নিখুঁত এক সুযোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে।


ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ৪ ডিসেম্বর তাঁর সার্বিয়া সফরকালে বলেছেন, যৌথ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ইরান ও সার্বিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে উন্নতি ও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ দফায় দুই দেশের মধ্যে নতুন কোনো স্বাক্ষর হয়নি। কিন্তু নারী অধিকার প্রশ্নে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন নির্মমভাবে দমনের কারণে তেহরান যখন আন্তর্জাতিক চাপে পড়েছে, সে সময় দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সার্বিয়া। 


আবদুল্লাহিয়ান তাঁর এ সার্বিয়া সফরকে ইউরোপের দেশগুলোতে থাকা দেশটির সব কূটনীতিকের এক জায়গায় সমবেত করতে ব্যবহার করেন। ইউরোপে নিযুক্ত ইরানের কূটনীতিকেরা বেলগ্রেডে তাঁদের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সার্বিয়া সফর শেষে আবদুল্লাহিয়ান বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা সফর করেন। সেখানে তিনি বলেন, বসনিয়ার কঠিন সময়ে তেহরান সব সময় তাদের পাশে ছিল।


১৯৯০-এর দশকে বসনিয়া যুদ্ধের সময় সেখানকার মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। কিন্তু ইরান ইদানীং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা থেকে বলকান অঞ্চলে সার্বিয়াকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ায় সারসহ অন্যান্য পণ্য বিকল্পভাবে ইরান থেকে আমদানি করছে। এর বিনিময়ে ইরানে নিজেদের গম রপ্তানি করতে চায় সার্বিয়া। ইরান থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিও শুরু করেছে দেশটি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও