অতিরিক্ত রাগ ও চিৎকার যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:০৫

কথায় আছে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। বেশিরভাগ মানুষই রেগে উত্তেজিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা খারাপ কথা বা ব্যবহার করে ফেলেন অন্যদের সঙ্গে। রাগ মানসিক চাপ বাড়ায়। রাগ শরীর ও মনের জন্য খুবই ক্ষতিকর।


২০১৮ সালে গ্যালাপের (গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট) প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ১৪০টি দেশের ১ লাখ ৫১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২২ শতাংশই অতিরিক্ত রাগের সমস্যায় ভুগছিলেন। অন্যদিকে ৩৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাগের কারণে অত্যন্ত চিন্তিতবোধ ছিলেন।


আসলে রাগ এমন একটি মনের অবস্থা যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। তবে আমাদের চাপের মাত্রা বেড়ে গেলে তা প্রায়শই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।


তবে যে কোনো পরিস্থিতিতেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা বুদ্ধিমানের কাজ। জেনে নিন অতিরিক্ত রাগ ও চিৎকার কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে-


হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়


আমরা যখন রেগে চিৎকার করি তখন শরীরে ৫টি জিনিস ঘটে। তার মধ্যে একটি হলো হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।


লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, রেগে কিছু বলতে গেলেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন বেশিরভাগ মানুষ। তখন হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এর মানে হলো, রাগ রক্তচাপও বাড়ায়।


এ কারণে ত্বক ও মুখ লালচে হয়ে যায় ও শিরা বেরিয়ে আসে। রেগে গেলে দ্রুত শ্বাস নিতে হয় আবার হাত-পা সে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা হয়ে যায়। যা কখনো কখনো বিপদ ডেকে আনতে পারে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়


গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন যে, অতীতের কোনো উত্তপ্ত তর্কের কথা স্মরণ করলে কিংবা রেগে চিৎকার করে উঠলে ৬ ঘণ্টার জন্য আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।


যারা খুব সহজেই রেগে যায় তারা প্রায়শই অসুস্থ থাকেন! কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। অত্যধিক রাগী মানুষেরা অজান্তে শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ান।


মেটাবলিজম কমে যায়


রেগে গেলে স্ট্রেস রাসায়নিক মস্তিষ্ক ও শরীরকে প্লাবিত করে। একই সঙ্গে মেটাবলিজমেও পরিবর্তন আসে। যারা অতিরিক্ত রাগের সমস্যা পুষিয়ে রাখেন তারা নিয়মিত মাথাব্যথা, উদ্বেগ, অনিদ্রা ও হজমের সমস্যায় ভুগতে পারেন।


ত্বকের সমস্যা বাড়ে


রাগের কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- অ্যাকজিমা ও নানা ধরনের চর্মরোগও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এমন মানুষের স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের উচ্চ ঝুঁকি আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও