কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সব সুবিধা ব্যবসায়ীদের জন্য জনগণের জন্য কী?

বণিক বার্তা ড. আরএম দেবনাথ প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫৭

কিছুদিন আগে সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা এক সেমিনারে বলেছেন, গুজবের সময় ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা আমানতকারীরা তুলে নিয়েছেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে তারা টাকা আবার জমা দিচ্ছেন। এ খবরটি সামান্য কিছুটা উদ্বেগের-আতঙ্কের। তাই খবরটির ভেতরে গেলাম। দেখলাম, কোন তারিখ থেকে কোন তারিখের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে, সেটা খবরে নেই। এখন সমস্যা হচ্ছে আমানতকারীরা প্রতিদিন টাকা তোলেন এবং প্রতিদিন টাকা জমা দেন। এতে আমানত বাড়ে অথবা কমে। আবার কোনো কোনো মাসে, বছরের কোনো কোনো সময়ে আমানত বাড়ে, আবার কখনো কখনো কিছুটা কমে। কিন্তু গড়ে গিয়ে ব্যাংকে আমানত বাড়েই, কমে না। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বলা উচিত ছিল কোন সময়ের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। ব্যাংকে বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা যেত। বিশেষ করে আরেকটি খবরের প্রেক্ষাপটে আমি এ কথাটি বলছি। যেমন ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে একটি খবরের কাগজে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবর শেষে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের একই সময়ে আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬২ কোটি টাকা। আর ২০২২ সালের অক্টোবরে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।


দেখা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসেও আমানত বেড়েছে। তাহলে কী আমানতকারীরা নভেম্বর মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে আবার জমা দিচ্ছেন? জানি না। আমার কাছে তথ্য নেই। তবে এটা বুঝি গ্রাহকদের টাকা তোলা ও জমা নিয়ে এমন কথা সচরাচর পদস্থদের বলা উচিত নয়। কথা বলতে হবে তথ্য ও সময়ের ভিত্তিতে। না হলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যা হওয়া উচিত নয়। শুধু এই ঘটনা নয়। প্রায়ই সরকারের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নেতারা এমন কথা বলেন যে তাতে আতঙ্কের সৃষ্টি না হয়ে পারে না। যেমন ২০১৮ সালের জুনের ৩ তারিখে সরকারের একজন মন্ত্রী একটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করে বলেন, সেখানে টাকা আনতে গেলে কষ্ট হয়। অর্থাৎ তিনি বলতে চাইছেন টাকা তোলা যায় না। এ ধরনের অভিযোগ মন্ত্রীরা করতে পারেন না। তারা পারেন শুদ্ধিমূলক ব্যবস্থা নিতে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাতে টাকার অভাব ঘটলে ব্যাংককে জরিমানা-শাস্তি দেয়া যায়। বস্তুত দেখা যাচ্ছে সরকারের ভেতরেই অনেক কথা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত মুহিত সাহেব অনেক সময় এমন সব কথা বলতেন যাতে প্রায়ই বিতর্কের সৃষ্টি হতো। অনেক সময় এমনও বলা হয়েছে, সরকারের ভেতরে সরকার আছে। এটা কেমন করে হয়? সরকার একটা ‘কালেক্টিভ বডি’। মূল কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাকিরা তা অনুসরণ করবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও