কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বুদ্ধিজীবীর দলীয় আনুগত্যের বিপদ

সমকাল আহমদ রফিক প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৬

প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রাক্কালে প্রশ্নটি উঠে আসে। সেটি হলো বুদ্ধিজীবীদের দলনিরপেক্ষতা। আমি মনে করি, একজন বুদ্ধিজীবী অবশ্যই রাজনৈতিক দলনিরপেক্ষ হবেন। বুদ্ধিজীবীর কাজ হচ্ছে সমাজ তথা রাষ্ট্রের সমস্যার দিকে নির্দেশ করা এবং সেখানে আলো ফেলা। এই আলোর পথ ধরে এগিয়ে যাবে দেশ।


বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, যেটি এখন পালন করা হয়, তা সারাবিশ্বে বিরল ঘটনা। কোনো দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বাছাই করে হত্যা করা হয়নি। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা বিষয়ে ২০১৩ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার রায়ে বলা হয়েছিল- 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে নানা ধরনের নৃশংস আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়নি, যেখানে জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত বুদ্ধিজীবীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এই হত্যাযজ্ঞ শুধু অপরাধীর অপরাধের মাত্রাই বাড়ায়নি; গোটা জাতির জন্য যন্ত্রণার ছাপ এঁকে দিয়েছে।'


আদালতের পর্যবেক্ষণ দিয়ে আমরা হয়তো একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ভয়াবহতা অনুমান করতে পারব। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা বা অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা যাবে, তা বুঝতে হলে এখনকার সময় ও চিত্রের দিকে চোখ রাখতে হবে।


এখন আলোচনা শোনা যায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বেশি বাধা আসে কোত্থেকে? এর উত্তরের দিকে তাকালে দেখতে পাই রাষ্ট্র ও মৌলবাদী গোষ্ঠী- এ দুই পক্ষ থেকেই বাধা আসে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মৌলবাদী গোষ্ঠীর চেয়ে রাষ্ট্রের দায় বেশি বলেই প্রতীয়মান।


স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে অর্থনীতির বিচার-ব্যাখ্যার নিরিখে অর্থনৈতিক খাতে দেশের অগ্রগতি হয়েছে, বলা যায়। এই সময়ে ধনী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। শ্রেণিগত বৈষম্যও বেড়েছে অনেক। অন্যদিকে মননশীলতা, মানবিক চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংকুচিত হচ্ছে। এই বিপরীতমুখী ধারার দিকে নজর দিলে দেশের বর্তমান বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। ইংরেজ শাসনের পরে পাকিস্তান আমলে প্রতিবাদী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। তাতে বুদ্ধিজীবীরা শ্রেণিগত বৈষম্য নিয়ে কথা বলেছেন। এখন দেশের বুদ্ধিজীবীরা আরাম-আয়েশে আছেন। তাই তাঁরা সামাজিক আন্দোলনের ঝুঁকি কাঁধে নিতে চান না। আবার স্বার্থহানির আশঙ্কাও রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও