![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.ajkerpatrica.net/contents/cache/images/720x0x1/uploads/media/2021/10/16/3a6c3706a833d800c474e41bd1312192-616a6ddd8fb8d.jpg)
এত প্রতারণা, তারপরও প্রবাসীদের ভরসা ইমো
হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি জেনেও সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল অ্যাপ ইমো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পারছেন না প্রবাসীরা। অন্য অ্যাপের তুলনায় কম ব্যান্ডউইডথে সহজে ভিডিও ও ভয়েস কল করতে পারায় এখনো ইমো তাঁদের কাছে জনপ্রিয়। প্রবাসীদের অনেকে হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও তা ব্যবহার করছেন। কাতারপ্রবাসী অনেকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
১৫ বছর ধরে কাতারে বাস করছেন বাছির খান। কাজ করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। কিছুদিন আগে তাঁর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। হ্যাকাররা তাঁর খালাতো ভাই কাতারপ্রবাসী রবিউল ইসলাম বাবুকে মেসেজ দেয়, বাছির বিপদে পড়েছেন। তাঁর জরুরি ২০ হাজার টাকা দরকার। পরে তাঁর নম্বরে যোগাযোগ করে আর তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
বাবু টাকা পাঠানোর চেষ্টার মধ্যেই হ্যাকাররা বাছিরের খালার কাছে একই মেসেজ দেয়। একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে তাতে পাঠানোর কথা বলা হয়। বাছিরের খালা তাৎক্ষণিক ওই নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠান। কিছুক্ষণ পরে বাছির বুঝতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। তখন তিনি ফেসবুকে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে একটি পোস্ট দেন। এরপর পরিচিত আত্মীয়স্বজন সতর্ক হন।