মাড়ির ক্যান্সারে কারণ ও করণীয়
আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের মতো মুখ ও মুখমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে সাধারণত ক্যান্সার হয়ে থাকে। মাড়ির ক্যান্সার অনেক সময় মাড়ির প্রদাহ মনে করে অবজ্ঞা করা হয়।
কারণ
♦ ধূমপান
♦ পান, জর্দা, সাদা পাতা, সুপারি, গুল
♦ অ্যালকোহল
ডেন্টিস্ট দাঁত চেকআপ করতে গিয়ে মাড়ির ক্যান্সার সাধারণত আবিষ্কার করে থাকেন।
উপসর্গ
♦ সাদা লাল অথবা কালো রঙের দাগ
♦ ক্ষতযুক্ত মাড়ি
♦ মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া
♦ মাড়ি শক্ত হয়ে যাওয়া
মাড়ির ক্যান্সার আগে ধরা পড়লে চিকিৎসা করা সহজ হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রথমে সার্জারি করা হয়।
মাড়ির ক্যান্সারের চিকিৎসার উদ্দেশ্য—
♦ ক্যান্সার নিরাময় করা, যেন তা প্রাণঘাতী না হতে পারে
♦ মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা
♦ খাবার চিবিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা সহজতর করা
♦ ক্যান্সার যেন পুনরায় না হতে পারে সেই ব্যবস্থা করা
চিকিৎসা
মাড়ির ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা সাধারণত নির্ভর করে ক্যান্সার কতটুকু ছড়িয়েছে এবং কতটুকু গভীর হয়েছে, সেটার ওপর।
♦ ওপরের চোয়ালে ক্যান্সার হলে ওপরের চোয়ালের আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে কেটে ফেলা হতে পারে।
♦ নিচের চোয়ালে ক্যান্সার হলে চোয়াল আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে কেটে ফেলা হয় ও দরকার হলে গলার আংশিক অংশ লিম্ফগ্রন্থিসহ কেটে ফেলা হয়।
যদি ক্যান্সার খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমোথেরাপি অথবা উভয়ই দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।