নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি
সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জন্য আজ এক কঠিন সময়। আর এই কঠিন সময়ের মধ্যে ভারতের কাঁধে এসেছে এক অসামান্য দায়িত্ব। ১ ডিসেম্বর জি২০ বিশ্ব সম্মেলনের প্রধান সভাপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হতে চলেছে জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলন।
ভারতের জন্য এটি প্রথম। আবার এই শুরুর দিনেই বাংলাদেশকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। অতিথি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এমন এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র, যাকে ছাড়া অন্য কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ভারত এই আমন্ত্রণ জানায়নি। এই একটা সিদ্ধান্তে ভারতও গোটা বিশ্বের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা।
এই জি২০ সম্মেলনকে ভারত মনে করছে একটা মস্ত বড় সুযোগ। নরেন্দ্র মোদির মাসিক রেডিও বার্তা ‘মন কি বাত’; সেখানে তিনি বলেছেন, গোটা পৃথিবীর ভালো করার বিষয়টিকে সামনে তুলে ধরার একটা সুযোগ এই জি২০-এর সভাপতিত্ব। আর এই জি২০-এর সভাপতিত্বের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের ভালোর সঙ্গে এই উপমহাদেশ তথা ভারত এবং বাংলাদেশেরও ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।
নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বকে ঘিরে ভারতে শুধু রাজধানী দিল্লি নয়, গোটা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়ও একটা আবেগ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, সেই সুদূর তেলেঙ্গানা রাজ্যের সার্চিলা গ্রাম থেকে হরিপ্রসাদ নামে এক ব্যক্তি জি২০-এর এই লোগোটিকে একটি হস্তশিল্পের মাধ্যমে উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। আর তার সঙ্গে পাঠিয়েছেন একটি চিঠি। তাতে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য গর্ব যে ভারত সামনের বছর সভাপতিত্ব করবে। ’ মোদি বলছেন, ‘এই চিঠি এবং এই উপহারটি পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার মনে হয়েছে, তাহলে ভারতের এত প্রত্যন্ত গ্রামেও মানুষ সচেতন, তাই এ রকমভাবে ভাবছে। ’
- ট্যাগ:
- মতামত
- জি-২০ সম্মেলন
- জি২০
- নরেন্দ্র মোদি