কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কৃষকের মুক্তিযুদ্ধ, কৃষকের বিজয়

www.ajkerpatrika.com চিরিরবন্দর শাইখ সিরাজ প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৪০

বাংলাদেশ, বঙ্গোপসাগর উত্থিত এই বদ্বীপে মূলত কৃষিনির্ভর সমাজের সূচনা হয়। হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাংলার জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি কৃষিনির্ভর। এখানে জীবনের সব অনুষঙ্গই রচিত হয়েছে কৃষকের চিন্তা, শক্তি, প্রয়াস ও উদ্যোগ ঘিরে। কৃষক তথা মেহনতি মানুষই শাসন-শোষণের প্রচলিত বৃত্তগুলো ভেঙেছেন। মানুষের জন্য নতুন নতুন পথ তৈরি করেছেন। জীবনকাঠামো এগিয়ে নিয়েছেন।



ইতিহাসের একটু পেছন ফিরে তাকালেই দেখা যায়, সুবিধাভোগী উচ্চবিত্ত শ্রেণি প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো দিন আন্দোলনে নামেননি; বরং তাঁরা আপস করেছেন। আর সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন রচনা করেছেন একেবারে তৃণমূল জনগোষ্ঠী। তেভাগা কিংবা নীল চাষবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এই বাংলার সব বিদ্রোহ-আন্দোলনের পেছনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠী; বিশেষ করে কৃষক। কৃষকের স্বপ্নসাধের পথ ধরেই রচিত হয়েছে সমাজ বিনির্মাণের রূপরেখা। শোষকের বিরুদ্ধে সূচিত হয়েছে একেকটি আন্দোলন।


সেখানে সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন তৃণমূলের সাধারণ মানুষ—কৃষক। ব্রিটিশবিরোধী সিপাহি আন্দোলনে অধিকাংশ সুবিধাভোগী জমিদারই ব্রিটিশদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। সুবিধাভোগীরা সংগ্রাম করে না, করে বঞ্চিতরা। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নসাধও রচিত হয়েছে কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর শোষণ, বঞ্চনা, উপেক্ষার পটভূমি সামনে নিয়ে। আমি ২০০৭ সালে গিয়েছিলাম দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে।


সেখানে তালপুকুর নামে একটি জায়গা তেভাগা আন্দোলনের রণাঙ্গন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ওই যুদ্ধের স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে শরৎচন্দ্র মণ্ডল, বীরেন মণ্ডলের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাঁরা এখন আর বেঁচে নেই। সেদিন তাঁরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন, তা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে ছিল না। তাঁরা চেয়েছিলেন গোটা বাংলার কৃষকের মুক্তি। নির্যাতিত-নিপীড়িত বহু বছরে পুঞ্জীভূত দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই তাঁরা সেদিন নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ রাজত্ব শেষে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল এবং মোট রপ্তানি আয়ের বড় অংশটি আসত পূর্ব পাকিস্তানে উৎপাদিত পাট থেকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও