যত বড় বাজেট, তত বড় দুর্নীতি

ডেইলি স্টার মাহফুজ আনাম প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৩৬

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের দুই ধরনের জবাবদিহি থাকে। প্রথমত, যারা তাদের নির্বাচিত করেছেন, সেসব মানুষের কাছে। দ্বিতীয়ত, নিজেদের কাছে, যাতে তারা জনঅসন্তোষের মুখে টিকে থাকতে পারে। নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো পূরণ হচ্ছে কি না এবং নিজেদের বিভিন্ন প্রকল্প ও নীতিগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ-খবর ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটা করা যায়। কোনো রাজনৈতিক দল সরকারের প্রতিনিধিত্ব করলে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের কল্যাণে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে এটা সম্ভব হয়। অন্যথায় সবক্ষেত্রে জবাবদিহিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করেও এটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। যা 'সুশাসন' হিসেবে পরিচিত। এটি হচ্ছে এমন একটি বিষয়, বর্তমান সরকার যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়ে মারাত্মকভাবে নিজেকে কলঙ্কিত করেছে। দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকে ভঙ্গুর করে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তরুণদের মনোবল নষ্ট করেছে।


জবাবদিহি অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার ছোট ও প্রতীকী একটি উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। ২৮ নভেম্বর নতুন করে চালু হওয়া সংবাদপত্র 'দৈনিক বাংলা' একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম 'টাকা থাকলে জেলেও মুক্ত জীবন'। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান ৪টি কারাগারে কোনো একটিতে প্রবেশের পর কীভাবে একজন টাকা খরচ করে থাকার জন্য ভালো জায়গা, উন্নতমানের খাবার, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনসহ উন্নত জীবনযাপনের যাবতীয় উপকরণ পেতে পারেন। কারাগার থেকে অবৈধ ব্যবসা ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্তও করা যায়। চাইলে প্রথম সপ্তাহের জন্য ১০ হাজার ও পরবর্তী সপ্তাহগুলোর জন্য এর অর্ধেক পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে হোটেলের মতো করে হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করা যায়। এখানে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যও পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়গুলো জানেন, কিন্তু এ বিষয়ে তারা কিছু করতে পারছেন না বা করেন না।


দাবি করা হয় কারাগারগুলো পুরোপুরি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি কারাগারের ভেতরেই অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে জনগণ কীভাবে ভরসা করবে, কর্তৃপক্ষ বাইরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে?


জবাবদিহি ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি বড় উদাহরণ হলো প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং বড় প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। পাশাপাশি কেন তা সম্ভব হচ্ছে না, সে বিষয়ে কাউকে জবাবদিহির আওতায় না আনা। ২৮ নভেম্বর যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ত্রুটিপূর্ণ নকশা, সঠিক সম্ভাব্যতা যাচাই না করা, বাড়তি কাজ, সুষ্ঠু নেতৃত্ব ও তদারকির অভাব, তহবিল পেতে বিলম্ব ও অন্যান্য কারণে ১০টি মেগা-প্রকল্পের খরচ বেড়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। একটি প্রকল্পও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি এবং এগুলো বাস্তবায়নের জন্য ২ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে। এই ১০টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা মোট তহবিলের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। বর্তমান এগুলোর প্রাক্কলিত ব্যয় ১ লাখ ১৬ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও