গৌরবদীপ্ত বিজয় ও অহংকারের মাস শুরু

সমকাল প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:২৮

শুরু হলো বাঙালির কাঙ্ক্ষিত মুক্তিসংগ্রামের বিজয় অর্জনের মাস ডিসেম্বর। আজ ১ ডিসেম্বর। ৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বরেই বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সল্ফ্ভ্রমের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরের ১৬ তারিখেই আমরা পেয়েছিলাম দেশের স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি লাল-সবুজের পতাকা। তাই ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতিসত্তা আর নিজস্ব ভূমির গৌরবদীপ্ত বিজয় ও অহংকারের মাস।


মূলত একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই বাঙালি বুঝতে পারে, তাদের জয় সুনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। কেননা, ডিসেম্বরের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধ সর্বাত্মক রূপ নেয়। চলতে থাকে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা হামলা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। একের পর এক মুক্ত হতে থাকে দেশের বিভিন্ন জায়গা। ১ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী সিলেটের শমশেরনগরে আক্রমণ চালিয়ে টেংরাটিলা ও দোয়ারাবাজার শত্রুমুক্ত করে। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের মুখে পাকিস্তানিরা সিলেটের গ্যরা, আলীরগাঁও ও পিরিজপুর থেকেও ব্যারাক গুটিয়ে নেয়। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে এক মুখপাত্র 'শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার শেষ হয়নি' বলে বিবৃতি দেন।


একই দিনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্ট বক্তৃতায় উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য সরানোর জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। তবে এ সময়ও তৎপর ছিল স্বাধীনতাবিরোধীরা। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা গোলাম আযম বৈঠক করেছিলেন ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। তিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগের দাবিও তুলেছিলেন। গোলাম আযম কমিউনিস্টদের 'অপতৎপরতা' সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। এ ছাড়া মিত্রপক্ষ ভারতের হামলার প্রতিবাদে খুলনায় শান্তি কমিটির সদস্যরা হরতাল পালন করে।


বরাবরের মতো এবারের বিজয়ের মাসও শুরু হয়েছে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর করার সুদৃঢ় দাবির মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও পরপর আরও দুই দফা ক্ষমতাসীন হয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সেই বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। তিন মেয়াদের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে জাতির বহু কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম অনেকটা চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। ইতোমধ্যে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৪৯টি মামলার বিচারের রায় হয়েছে। এসব রায়ে প্রায় ৮৫ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির রায় হয়েছে। আটজনের ফাঁসির রায় কার্যকরও হয়েছে। বাকিদের মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও