আর্সেনিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে
শুধু যে নলকূপের পানি পান করে মানুষ আর্সেনিকের বিষে আক্রান্ত হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের ৪৩টি জেলার মানুষ বোরো ধানের চালের ভাত খেয়েও মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। এই ধানের ভাত শুধু উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষই খাচ্ছে না, খাচ্ছে গোটা দেশের মানুষই, ফলে নীরবে-নিভৃতে ঘাতকব্যাধির প্রসার ঘটছে।
যেহেতু বোরো ধান চাষে প্রচুর ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হয়, সেহেতু ওই ফসল আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আক্রান্ত হয়। সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর আগে পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছি। তাতে আর্সেনিকের বিষক্রিয়া সম্পর্কে বুঝতে সুবিধা হবে।
বিজ্ঞান বলে, আর্সেনিক একধরনের ধূসর ধাতব পদার্থ। একে সহজে ভেঙে গুঁড়া করা যায়। প্রকৃতিতে সাধারণত দুই প্রকার আর্সেনিক বিদ্যমান—জৈব ও অজৈব আর্সেনিক।