কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হাতকড়া পরা কৃষকের পাশে কে দাঁড়াবে?

সমকাল রুস্তম আলী খোকন প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১০:৩৫

বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা 'ঋণখেলাপি' হয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর ১২ কৃষকের কারাবাস নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম যখন তোলপাড়, সেই শুক্রবার কাকতালীয়ভাবে আমি বগুড়ার কাহালুতে এক কৃষি খামারে অবস্থান করছিলাম। মন্দের ভালো, রোববারই জামিন পেয়েছেন ওই ১২ কৃষক ও অভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আরও ২৫ 'আসামি' কৃষক। (সমকাল, ২৮ নভেম্বর, ২০২২)।
যদিও আদালত জামিন দিয়েছেন, মামলা তো আর তুলে নেওয়া হয়নি। যে কৃষক ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে দেশের জন্য খাদ্য উৎপাদন করেন, তাঁদের এমন পরিণতি? তাঁদের 'অপরাধ'- ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নিয়ে তা সময়মতো পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়। স্বীকৃত ঋণখেলাপিরা রাজপথে চড়ে বেড়ান দামি গাড়িতে করে। এ ধরনের একটি মামলায় উচ্চ আদালত এরই মধ্যে তিরস্কার করেছেন দুদক আইনজীবীকে- রাঘববোয়ালদের কিছুই করছেন না; ধরছেন চুনোপুঁটিদের!


অথচ হাতকড়া লাগানো এসব কৃষক বিগত দশকে কয়েকবার বাম্পার ফসল ফলিয়েছেন। সেই উৎপাদন নিয়ে গালগল্পে মশগুল মন্ত্রী-এমপিরা। ওদিকে বারবার ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েও কৃষক কাস্তে কোদাল মই হাতে পরের মৌসুমে ফিরে গেছেন ফসলের মাঠে। যে কৃষক রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মহামারি উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে মাঠে যান চাষাবাদ করতে; যে কৃষক আমাদের জন্য উৎপাদন করেন ধান গম ভুট্টা সবজি ফল; তাঁদের কোমরে দড়ি 'উপহার'? যাঁদের সম্মান জানানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তাঁদেরই করেছি অপরাধী!


দুই বছর আগে শুরু হওয়া একটি মহামারি থেকে আমরা সবেমাত্র বের হচ্ছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে টালমাটাল হয়েছে বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতি। আসন্ন খাদ্য সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন- এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না; ঠিক সেই সময়ে এমন ঘটনা ঘটল দেশে!


বগুড়ার কাহালুতেই দেখলাম, এক কেজি আলুর দাম ১৫-১৭ টাকা। ঢাকায় সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। কৃষক যিনি প্রকৃত উৎপাদনকারী, তিনি পেয়েছেন ভোক্তা যে টাকায় কিনছেন তার অর্ধেক দাম। এর জন্য কৃষককে জমি চাষ, সার, নিড়ানি দিতে হয়েছে এবং ফলনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে। কৃষক তাঁর সময়, শ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করে পেয়েছেন অর্ধেক; আর বাকি অর্ধেক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে পরিবহন এবং হাতবদলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও