পদ্মা সেতুর সুফল পাওয়ার বাধা কাটেনি
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কমেছে যাতায়াতের সময় ও পথের দূরত্ব। কিন্তু অপ্রশস্ত মহাসড়কের কারণে সেতুর পূর্ণ সুফল মিলছে না। একই সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্যোক্তারাও এ অঞ্চলে বিনিয়োগ ও শিল্পকারখানা করতে তেমন এগিয়ে আসছেন না।
এত দিন ধরে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার পশ্চাৎপদতায় বরিশালসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে শিল্পের বিকাশ হয়নি। কৃষি, মৎস্য খাত ঘিরেই আবর্তিত এ অঞ্চলের অর্থনীতি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই বাধা অপসারিত হয়েছে। সবাই আশা করছেন, এবার এ অঞ্চলে শিল্পের প্রসার ঘটবে। কিন্তু সেতু উদ্বোধনের চার মাস পার হলেও এ গতি মন্থর।
তবে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর দক্ষিণের পর্যটনকেন্দ্র ও আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সে অনুযায়ী অবকাঠামোগত ও অন্যান্য সুবিধা অপ্রতুল। এসব সুবিধা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রস্তুতি-উদ্যোগও কম।