You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আইএমএফের ঋণের শর্ত: সরকারের দায় ও জন উদ্বেগ

ঋণ নেওয়ার অর্থ সংকটকে স্বীকার করা। প্রশ্ন হচ্ছে, সংকট কতটা গভীর ও গুরুতর? এ বিষয়ে সঠিক তথ্য না জানলে বা না জানালে তা মোকাবেলার কাজটি হবে কঠিন। শাসকের দুর্বলতা, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার কারণে এই দুরাবস্থা তৈরি হলেও এর মোকাবেলা করতে হবে সকলে মিলেই। সে কারণেই সংকটের গভীরতা ও সম্ভাব্য বিস্তৃতি সম্পর্কে যেমন স্পষ্ট ধারণা দরকার এবং সেখান থেকে উত্তরণে অন্যদের ভূমিকাও পরিষ্কার করা জরুরী।

বাংলাদেশের ঋণের কেন দরকার হলো?

ঋণের দরকার হলো কারণ, দেশের আমদানি ও আভ্যন্তরীণ অন্যান্য খরচ মেটাতে অর্থের দরকার। ওই প্রয়োজনীয় অর্থ বা ডলারের সংকট থাকায় আইএফএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ঋণের আবেদন করতে হয়েছে। হঠাৎ করেই যেন দেশের আমদানি ব্যয়সহ অন্যান্য খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিমাসে সরকারকে ৭-৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে এবং তা রিজার্ভ থেকে প্রদান করতে হচ্ছে। শোনা যায়, দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ২৬.৩ বিলিয়ন ডলার। সেটা হলে তহবিলে যে অর্থ আছে তা দিয়ে চলবে মাত্র কয়েক মাস। বর্তমান রিজার্ভ শেষ হলে সেই সময়ের ঘাটতি মেটাতেই ঋণ করতে হচ্ছে। যদিও রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। দেশে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৬.৩ না ৩৪ বিলিয়ন ডলার তা নিয়ে স্ববিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। ওই কারণে আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে এই হিসেব পদ্ধতির পুনর্মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস কী?

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস প্রধানত দুটি। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং গার্মেন্টস রপ্তানি থেকে আয়। ওই আয়ে কি গত দুই-তিন বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বা এই খাতে কি ব্যাপক কোনো ধস নেমেছে? পরিসংখ্যান থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং করোনাকালেও প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে অতীতের চেয়ে অধিক অর্থ পাঠিয়েছে। করোনাকালে রপ্তানিমুখী খাত কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেলেও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ধারাবাহিকতা রেখেছে।

দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদন বলছে, “দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স। এ দুই খাতে আয় বাড়ছে। এদিকে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা কমতে শুরু করেছে। এরপরও আমদানি ব্যয় কমেনি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ কমে গত রোববার ৩৬৮৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। করোনার সময় স্থগিত এলসির দেনা ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

জানা গেছে, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স খাতে আয় হয়েছে ২১০৩ কোটি ডলার। রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫২০৮ কোটি ডলার। এই দুই খাতে ৭৩১১ কোটি ডলার আয় হয়। একই অর্থবছরে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮২৫০ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ৯৩৩ কোটি ডলার। বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ থেকে পরিশোধ হচ্ছে। এর বাইরে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাবদ গত অর্থবছরে এসেছে ২১৮ কোটি ডলার। একই সময়ে বিদেশে চিকিৎসা, ভ্রমণ ও পড়াশোনায় এর চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। সব মিলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এ কারণে ডলারের সংকটও প্রকট হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন