নিউ ইয়র্কে শতবার্ষিকী উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য ও ব্যর্থতার জিজ্ঞাসা
যশোর বোর্ডে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান ও উচ্চ মাধ্যমিকে সকল বিভাগে প্রথম স্থান লাভের পর ১৯৬৭ সালে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পেয়েছিলাম বাংলাদেশের তৎকালীন শ্রেষ্ঠতম বিদ্যাপীঠ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ আমার সকল সাফল্যের মূলে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান শিক্ষকদের অসাধারণ জ্ঞান, নিষ্ঠা ও মানুষ গড়ার নিদারুণ আকুতি, অনুরাগ এবং অভিনিবেশ। আমার অন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের।
আমার আজীবন পথচলার মাঝে দশটি বছরের দীর্ঘ বিরতির এক সম্মোহনী সরাইখানা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে হয়েছিল আমার যাত্রাবিরতি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুটি ডিগ্রি লাভের পর প্রভাষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেছি প্রায় সাড়ে তিন বছর। নির্বাচিত হয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিনেটের ফাউডিং সদস্য। ছিলাম সলিমুল্লাহ হলের সহকারী হাউজ টিউটর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি রোমন্থনে মনে পড়ে, পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও আমরা জড়িয়ে পড়তাম সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে। আমাদের অবসরের সময় কাটত সঙ্গীত, সাহিত্য, দর্শন, রাজনীতি এবং সমসাময়িক বিষয়ের আলোচনা ও আড্ডায়। পুঁজিবাদী দৈত্যের এক বিশাল যন্ত্রের হৃদয়হীন স্ক্রু অথবা নাট না বানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ তখন ছিল হৃদয়বৃত্তির মাধুরী মিশিয়ে জীবিকার দক্ষ কারিগর এবং সমাজ ও প্রকৃতির হিতৈষী হিসেবে ছাত্রদের গড়ে তোলা।
- ট্যাগ:
- মতামত
- উচ্চ শিক্ষা
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়