জি২০-এর আগে ও পরে কী ঘটেছে

কালের কণ্ঠ গাজীউল হাসান খান প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১১:০৭

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম ৮০ বছর বয়সে পদার্পণ করা কোনো প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তার পরও তিনি আশা করছেন তাঁর প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় টার্মের জন্য তিনি লড়তে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বয়সে প্রবীণ হলেও ডেমোক্রেটিক দলের এই রাষ্ট্রপ্রধান অত্যন্ত সুচতুর, সাহসী এবং স্মার্ট বলে গণমাধ্যমের একটি অংশের ধারণা। বিশ্বব্যাপী বর্তমান উথাল-পাথাল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাইডেন আশাবাদী তিনি তাঁর প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।


তাঁর প্রতিপক্ষের মধ্যে এখনো প্রধান অবস্থানে রয়েছেন তাঁর পূর্ববর্তী রিপাবলিকানদলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের তালিকায় ট্রাম্প একজন গোঁয়ার্তুমি ও স্বেচ্ছাচারিতাপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত। তাঁর উগ্র জাতীয়তাবাদী (শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ) এবং ‘একলা চলার নীতি’ যুক্তরাষ্ট্রকে তাঁর শাসনামলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং এমনকি ইউরোপ থেকেও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই ডেমোক্রেটিক দলের সমালোচকরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে ট্রাম্পের কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক পূর্বাভিজ্ঞতা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে যাকে বলা হয় মুক্ত বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী পরাশক্তি, সেই দেশ পরিচালনার জন্য ট্রাম্পের নেই তেমন উচ্চশিক্ষা কিংবা উন্নত দর্শন। বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক এই ব্যক্তিটি চরিত্রহীন, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে এখনো সমালোচিত হচ্ছেন। সেসব কারণে তাঁর দ্বিতীয় টার্মের নির্বাচনে তিনি তাঁর ডেমোক্রেটিকদলীয় প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে বিপুল জনপ্রিয় ভোটে হেরে যান। কিন্তু সেই নির্বাচনের রায়কে মেনে নেননি তিনি। তদুপরি ৬ জানুয়ারি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে ক্যাপিটল হিলে চলাকালীন এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় সশস্ত্র হামলা চালায় ট্রাম্পের দাঙ্গাবাজ সমর্থকরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন কংগ্রেস ভবনের বাইরে এক মঞ্চে অবস্থান করছিলেন। সেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই এখন আবার তৃতীয়বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনি অভিযোগ ও তদন্ত প্রক্রিয়া মাথায় নিয়ে।


উল্লিখিত পরিস্থিতিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও রাজনৈতিক অবস্থা তাঁর অনুকূলে রয়েছে বিবেচনা করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দ্বিতীয় টার্মে নির্বাচনের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহল তাঁর বয়স, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং বিশ্বপরিস্থিতির কথা সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বিষয়টি আবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ হারানোর ফলে তাঁর পক্ষে কোনো বিল উত্থাপন কিংবা আইন পাস করা সহজ হবে না। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের উচ্চ পরিষদ সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেও আইনি বা সাংবিধানিক ক্ষেত্রে পাল্টাপাল্টি করা ছাড়া বেশি দূর অগ্রসর হওয়ার সুযোগ কমে গেছে। তা ছাড়া ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জো বাইডেনের প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানরা যে আগামী দুটি বছর কংগ্রেসের ভেতরে-বাইরে কিংবা নির্বাচনী মাঠে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও তৎপর থাকবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও