মাহাথিরকে ভুলে যাওয়া যাবে না
যারা মনে করছেন গত শনিবারের নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ নামের বাতিঘর নিভে গেছে। যবনিকাপাত ঘটেছে মালয়েশিয়া পাল্টে দেওয়া বিস্ময়কর এক রাজনীতিকের। আদতে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এ কথায় অনেকেই হয়তো আহত হবেন। কিন্তু এটাই সত্য। পুরো বিষয়টাকে একটু তলিয়ে দেখলেই এর নাগাল পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, এ কথা আক্ষরিকভাবে সত্য যে, ১৯ নভেম্বরের নির্বাচনে মাহাথিরের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। জামানতটা পর্যন্ত খোয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে হয়েছেন চতুর্থ। শুধু নিজেই ডোবেননি, দলকেও ডুবিয়েছেন। পুরো মালয়েশিয়ায় তার দল পায়নি একটি আসনও। সাদা চোখে এই হিসাব-নিকাশ দেখে যে কেউ বলতেই পারেন, নির্বাপিত হয়েছে মাহাথির মোহাম্মদ নামের প্রদীপ। কিন্তু না এটা তার মতো বিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে কেবলই আপাত এক সত্য। উপরিতলের বুদবুদ বিশেষ।
আমাদের মনে আছে নিশ্চয়, মাহাথির টানা ২২ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আরও মনে থাকার কথা যে, নির্বাচনে তার হারের কোনো রেকর্ড নেই। এবারই প্রথম, হয়তো শেষও। কেননা শতায়ু পূরণ হতে বাকি আছে আর মাত্র দুই বছর। শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও সময়ের অভিঘাতকে অস্বীকার করা যাবে না কোনোভাবেই। শনিবারের নির্বাচনে তার পরাজয়ের পেছনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যে কারণকে মুখ্য বলে মনে করছেন, সেটি হলো তার বয়স। সম্ভবত এ কারণেই ভোটাররা ব্যক্তি ও দল উভয় দিক থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা মনে করি, এই পরাজয় তার দলের জন্য কিছুটা বিপর্যয়ের হলেও একজন মাহাথির মোহাম্মদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থ বহন করে না। কেন করে না, সেই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে দেখে নেওয়া যাক, তার রাজনৈতিক পরিভ্রমণ।