কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অন্তত এক বেলা সবাই একসঙ্গে খাওয়াটা কেন জরুরি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০৭

দুপুরে গোসলের পর ও রাতে সবার খাবার টেবিলে হাজির হওয়া ছিল মৃন্ময়ীদের বাড়ির নিয়ম। বাসার ছোট যে সদস্য, সে বছর পাঁচেক বয়স পর্যন্ত খেত বাবার সঙ্গে বড় থালায়। একেক পদ দিয়ে ভাত মেখে থালার এক পাশে আলাদা করে দিত বাবা। এভাবেই তারা সব ভাইবোন সব ধরনের খাবার খেতে শিখেছে। খাবার টেবিলটা ছিল তাদের পরিবারের মূলমঞ্চ। খাবারের পাশাপাশি সেখানে চলত সারা দিনের গল্প। সারা দিন কে কী করল, তার বয়ান থেকে শুরু করে জরুরি কোনো আলোচনা, সিদ্ধান্ত ইত্যাদিও এ টেবিল থেকেই জেনে যেত সবাই। অনেক সময় দেখা যেত, খাওয়া শেষ, হাত শুকিয়ে গেছে কিন্তু গল্প শেষ হচ্ছে না। এভাবে বড় হয়েছেন মৃন্ময়ীরা।


মৃন্ময়ীর নিজেরই এখন সংসার হয়েছে। সন্তানও আছে। কিন্তু মৃন্ময়ীর ছোটবেলা আর তাঁর সন্তানের ছোটবেলার মধ্যে কত ফারাক! মৃন্ময়ী আর তাঁর স্বামী, দুজনই চাকরিজীবী। দিনের একটা লম্বা সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। সন্তান থাকে গৃহকর্মীর কাছে। চাইলেও মৃন্ময়ীর এখন আর সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে খাওয়া হয় না। শুধু মৃন্ময়ীই নয়, অধিকাংশ পরিবারেই এখন এই চিত্র।


চিকিৎসক ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে করে নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। মৃন্ময়ীরও যেমন হয়েছে। ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছে, এমন ঘটনা খুব কম। অথচ এখন মৃন্ময়ীর প্রায়ই ছুটতে হয় বদ্যিবাড়ি, যেতে হয় তাঁর ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে। এরই মধ্যে ছেলের চোখে চশমাও লেগেছে। চিকিৎসকদের একটাই কথা, ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে হবে।


বাড়িতে একসঙ্গে খাবার না খাওয়ার প্রবণতা কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই বেশি। তাদের একটি বড় অংশই দিনের বেলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার কারণে বাইরে খায়। রাতের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার আগ্রহও তাদের খুব একটা দেখা যায় না। অনেকেই প্লেট নিয়ে টিভি বা ল্যাপটপের সামনে চলে যায়। আর টেবিলে বসলেও অন্য হাতে মোবাইল টিপতে থাকে। বাসার খাবার পছন্দ না হলে অনলাইনে পছন্দের খাবার অর্ডার করে নিজের রুমে বসে খায়। এতে করে শিশুরা পরিবার থেকে আলাদা হতে শুরু করে। অজান্তেই মা–বাবার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও