আরও সতর্কতা জরুরি

যুগান্তর প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০৪

সার্বিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় মূল্যস্ফীতির হারের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, রীতিমতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় সব দেশই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে পণ্যমূল্য বাড়ায় এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার কারণেই মূলত দেশে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। গত আগস্টে এ হার বেড়ে এযাবৎকালের মধ্যে রেকর্ড ছুঁয়েছে। ওই মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা সামান্য কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে। অক্টোবরে আরও কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। শীতের সময়ে চাল ও সবজির সরবরাহ বাড়ায় পণ্যমূল্য কিছুটা কমে। এ কারণে শীতে একটু কমতে পারে। তবে শীতের পর এ হার আবার বেড়ে যেতে পারে-এমন আশঙ্কা যুগান্তরের কাছে পৃথকভাবে ব্যক্ত করেছেন দেশের তিনজন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ। এ হার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।


স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে হবে: ড. এবি মির্জ্জা আজিজ


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে থাকায় সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এখন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর পাশাপাশি সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানো, রপ্তানির ধারাবাহিতা ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জিং। কেননা বর্তমানে যে মূল্যস্ফীতি ঘটছে তার বড় কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক পরিস্থিতি।


অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনায় মূল্যস্ফীতি বেশি হচ্ছে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ


বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রায় সব দেশই সতর্কতা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশকেও তাই করতে হবে। তবে বৈশ্বিক বা বিভিন্ন দেশের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতিতে একটু ভিন্নতা রয়েছে। এদেশে মূল্যস্ফীতির হার বেশি হচ্ছে মূলত অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে। পণ্যমূল্যে যেমন নিয়ন্ত্রণ নেই, তেমনই সেবা খাতেও নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বাড়া বা সরবরাহ সংকটের দোহাই দিয়ে পণ্য ও সেবার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ানো হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে বাজার নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। কিন্তু সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের মধ্যেও দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ বাড়ছে।


রিজার্ভ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল: ড. আহসান এইচ মনসুর


পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যে চাপ তার বেশির ভাগই বৈশ্বিক কারণে সৃষ্ট। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ কিছু কারণও রয়েছে। বিশ্বব্যাপীই মূল্যস্ফীতির হারের ঊর্ধ্বগতিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারই বেশি বাড়ছে। এ হার আরও বাড়বে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। বৈশ্বিকভাবে যে দুর্যোগ বা যুদ্ধবিগ্রহ দেখা দিলে মানুষের মধ্যে এ ধরনের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে পণ্যের জোগানেও প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এতে পণ্যে ও সেবার দাম বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতি ঘটায়। এবারের মূল্যস্ফীতির নেপথ্যে বড় কারণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ না থামলে বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম পড়বে না। বাংলাদেশ যেহেতু আমদানিনির্ভর, খাদ্য থেকে শিল্পের যন্ত্রপাতি কাঁচামাল আমদানি করতে হয়, সে কারণে এ দেশেও মূল্যস্ফীতির হার খুব বেশি কমবে না। আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও