বিএনপির দৃষ্টি দল গোছানোয়, আ.লীগের সিটি নির্বাচনে
পরিবহন ধর্মঘট, পুলিশি তৎপরতা, ক্ষমতাসীন দলের মহড়াসহ নানা উত্তেজনার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত সিলেটে গত শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। দলটির নেতাদের দাবি, দলীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতে সিলেটে এর আগে এত বড় জমায়েত হয়নি। গণসমাবেশ ঘিরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তি আপাতত থামানো গেছে। একই সঙ্গে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক গতি এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে সম্প্রীতি বেড়েছে। তাঁরা এখন এই উদ্দীপনাকে কাজে লাগিয়ে দল গোছানোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
এই বিষয়ে সিলেটের মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমাদের কৃতিত্ব না। এই সমাবেশের দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল।’ তাঁর দাবি, বড় দলের প্রধান নেতা বা সরকারপ্রধান ছাড়া এ ধরনের বড় সমাবেশ সিলেটে প্রথম।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্য আলোচনায় বিএনপির এই সমাবেশকে বড় জমায়েত বলতে রাজি নন। তবে ব্যক্তিগত আলোচনায় স্বীকার করছেন যে বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে পরিবহন ধর্মঘটসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করলেই ভালো হতো। কারণ, যারা আসার তারা ঠিকই সমাবেশে এসেছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে উল্টো বিএনপির জেদ তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের কর্মসূচিটি সারা দেশে আলোচনায় এসেছে।
সিটি নির্বাচন ঘিরে তৎপরতা
২০২৩ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে পারে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে দলীয়ভাবে আরিফুল হকের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এই সরকারের অধীন আর কোনো নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে আসবে। তাই সিলেট আওয়ামী লীগের দৃষ্টি গত নির্বাচনে হাতছাড়া হওয়া মেয়র পদটি পুনরুদ্ধারের দিকে। যে কারণে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আগ্রহী জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে গেছেন।