You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আইএমএফের ঋণ অপর্যাপ্ত : প্রয়োজন বিকল্প উৎস

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার শঙ্কা এবং ডলার সংকট দেখা দেওয়ার শুরু থেকেই আমি আমার একাধিক লেখায় স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছিলাম যে সামনের দিনগুলোতে অবস্থা বেশ খারাপ হতে পারে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ডলার বন্ড বিক্রি করে ভালো অঙ্কের একটি নিজস্ব ডলারের বাফার তহবিল সংগ্রহ করে রাখা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে আমি একটি হিসাব করে দেখিয়েছিলাম যে সমগ্র বিশ্বে বসবাসরত ৫০ লাখ বাংলাদেশির মধ্যে জনপ্রতি ২৫ হাজার ডলারের বন্ড বিক্রি করে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব। এ কথা সত্য যে গত এপ্রিল/মে মাসে এই উদ্যোগ নিয়ে প্রথমেই এত বিশাল অঙ্কের ডলার তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হতো না।

কারণ এ জন্য প্রয়োজন প্রায় তিন-চার বছর সময়। তবে তখন থেকে সঠিকভাবে শুরু করতে পারলে এত দিনে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বন্ড বিক্রি করা সম্ভব ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি একেবারেই বিবেচনায় না নিয়ে এমনভাবে আইএমএফের দ্বারস্থ হলো যে সেই সুযোগে আইএমএফ একের পর এক শর্ত আরোপ করে বসেছে। আজ যদি বাংলাদেশের হাতে ডলার বন্ড বিক্রি করা নিজস্ব তহবিল থাকত, তাহলে আমি নিশ্চিত যে আইএমএফ এসব শর্ত আরোপ করার সুযোগ পেত না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থ মন্ত্রণালয় হয়তো বলার চেষ্টা করবে যে এভাবে বন্ড বিক্রি করে ডলার সংগ্রহ সম্ভব নয়। এটা কিভাবে সম্ভব তা আমরা যাঁরা এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাঁদের কাছে জানার চেষ্টা করলেও তো এর পথ আমরা বাতলে দিতে পারতাম।

অনেক দর-কষাকষির পর অবশেষে আইএমএফ কিছু সংস্কার প্রস্তাব এবং শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানে সম্মত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে আইএমএফের বেশ কিছু সংস্কার পদক্ষেপ আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই গ্রহণ করতে হবে। আর এই সংস্কারের কথা আমাদের দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন। এমনকি আমি নিজেও আমার অনেক লেখায় বিস্তারিত তুলে ধরে সেগুলো স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছি। তবে ভর্তুকি, মুদ্রাস্ফীতি প্রকাশ এবং খেলাপি ঋণের ৯০ দিনের যে সংজ্ঞার কথা আইএমএফ উল্লেখ করেছে তা সঠিকভাবে বলা হয়নি। এগুলো ভিন্ন প্রসঙ্গ বিধায় এখানে বিস্তারিত তুলে ধরার সুযোগ নেই। যাই হোক, আইএমএফের এই ঋণ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের যথেষ্ট স্বস্তির কারণ আছে। প্রথমত, যাঁরা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে বা দেশে মারাত্মক রকমের দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন তাঁরা এখন নিশ্চয়ই থামবেন। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাওয়ার বা দেশে মহামন্দার সম্ভাবনা থাকলে আর যা-ই হোক আইএমএফ অন্তত ঋণ প্রদান করত না। আর আইএমএফের এই ঋণের মাধ্যমে এটাও পরিষ্কার যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক আছে। এটি হয়তো তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করা যাবে না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছাড়া আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা লাভ করা দুরূহ ব্যাপার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন