যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন, ইউক্রেইন যুদ্ধ ও বাংলাদেশ
এবারে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে অতীতের প্রবণতার পরিবর্তন ঘটেছে। গত চার দশকে লক্ষ্য করা যায় প্রথম মেয়াদকালীন মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের দল সেনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (অথবা প্রতিনিধি পরিষদ) এ সাধারণত অনেক পদ হারায়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সেনেটের সদস্যকে বলা হয় সেনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদ এর সদস্যকে বলা হয় কংগ্রেসম্যান। গেল চার দশকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি পরিষদে হারাবার কথা ছিল মোটামুটি ৩০টি কংগ্রেসম্যান পদ। কিন্তু তা হচ্ছে না। যদিও প্রতিনিধি পরিষদের নেতৃত্ব তার দল হারাবে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু সংখ্যার ব্যবধান হবে নিতান্তই কম। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, সেনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রক্ষা পাচ্ছে।
প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষীণ হলেও, তারাই দখল করবে প্রতিনিধি পরিষদের নেতৃত্ব যেমন স্পিকার ও বিভিন্ন কংগ্রেশনাল কমিটির চেয়ারম্যানের পদগুলো। রিপাবলিকান পার্টির কোনো কোনো কংগ্রেসম্যান মধ্যবর্তী নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ইউক্রেইন যুদ্ধে তাদের নিরঙ্কুশ সমর্থনের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এর ফলে ইউক্রেইনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।