অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহে জোর দিন
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি আমন মৌসুমে ৮ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এর মধ্যে তিন লাখ টন ধান এবং ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল।
এবার প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪২ টাকা দরে কেনা হবে, যা গত আমন মৌসুমের (২০২১-২২ অর্থবছর) তুলনায় কেজিপ্রতি যথাক্রমে ১ ও ২ টাকা বেশি। গত ১০ নভেম্বর থেকে চলতি আমন সংগ্রহ শুরু হওয়ার কথা। কার্যক্রম চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত।
সরকারের আমন ও বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্দেশ্যাবলির মধ্যে রয়েছে-এক. ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমে বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখা। আমাদের দেশে ধানচাষিদের বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। তারা ধারদেনা করে ফসল ফলান। এছাড়া তাদের সংসারে নানা অভাব-অনটন লেগেই থাকে। ফলে ধান কাটার পরপরই বহুকষ্টে ফলানো ফসল বিক্রি করতে বাজারে নিতে হয়। মৌসুমের শুরুতে ধানচাষিরা যাতে ধানের ন্যায্য দাম পান, তা যতটা সম্ভব নিশ্চিত করতে সরকার মাঠ পর্যায়ে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনে। দুই. সরকারি গুদামে চালের নিরাপত্তা মজুত গড়ে তোলা। সরকারি খাদ্যগুদামে যথেষ্ট পরিমাণে ধান-চাল মজুত থাকলে তা চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়াতে নিরুৎসাহিত করে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ধান-চাল সংগ্রহ