আওয়ামী লীগ চাইলেও কি সুষ্ঠু ভোট সম্ভব

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫৬

বাংলাদেশে গত দুটি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য—কোনোটাই হয়নি। এ দুই নির্বাচনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ বা তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবী মহলও নির্বাচন দুটিকে খুব জোর গলায় ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে দাবি করেন না। আর জনগণ যেহেতু ভোট দিতে পারেননি, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অনিয়ম ও কারচুপি দেখেছেন, তাই তাঁরা নির্বাচন দুটিকে সুষ্ঠু বলে মনে করেন না।


এখানে বলে রাখা ভালো, ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন ও ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলেও অনেক সময় ‘গ্রহণযোগ্য’ হয়। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি মূলত নির্ভর করে একটি দেশের নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির ওপর।


২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৫৪ জন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গীরা পেয়েছিল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই। বিএনপি যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছে, তাই সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ার দায় বিএনপির ওপর অনেকটাই চাপানো যায়। আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবী মহল তখন একটি সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চেয়ে সংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার গুরুত্বকেই বড় করে দেখাতে চেয়েছে।


২০১৪ সালের গ্রহণযোগ্যতাহীন নির্বাচনের দায় না হয় বিএনপির ওপর চাপানো গেল, অথবা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে জায়েজও করা গেল, কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের ক্ষেত্রে যুক্তি বা ব্যাখ্যা কী? এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। গ্রহণযোগ্য না হওয়ার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর সুযোগ নেই। এ নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারকাছ দিয়েও যায়নি, কারণ যে ভোট দিনে হওয়ার কথা তা হয়ে গেছে আগের রাতে। এ ধরনের অভিনব ও মাত্রাছাড়া অনিয়মের কারণে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ‘রাতের ভোট’ কথাটি প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের লোকজনের মুখেও শোনা গেছে। (আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট দিনেই হবে। রাতে কোনো ভোট হবে না।—নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান)। আবার সরকারি দলের লোকজনও যখন বলেন, আগামী নির্বাচন ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো হবে না, তখন বোঝা যায় সে নির্বাচনকে তাঁরা নিজেরও গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও