
অর্থ লুটপাটকারীদের গুলিটা করবে কে
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরকে দেশের আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারির সূচনার মাস বলা যায়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়।
সদ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন অবশ্য একজন। আর তিনি হলেন জাতীয় পার্টির মধ্যম সারির একজন নেতা, শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু। তাঁকে দেওয়া হয় বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ।
মূলত নির্বাচনে বঞ্চিত, পরাজিত এবং নানা পদপ্রত্যাশীদেরই বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্যই সে সময় ব্যাংককে ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপরই সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারি, জনতা ব্যাংকের বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিসহ বড় বড় অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
তবে কেলেঙ্কারির দিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বেসিক ব্যাংক। এই ব্যাংক থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়। অথচ এই কেলেঙ্কারির নায়ক শেখ আবদুল হাই এখনো আরাম-আয়েশে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। আর সুযোগটি করে দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিভিন্ন সংস্থার সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনেই বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির জন্য শেখ আবদুল হাইকেই দায়ী করা হয়েছিল। অথচ তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা এখনো খুঁজে পায়নি দুদক। এ নিয়ে নানা মহলে ৯ বছর ধরে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি জাতীয় সংসদে উঠেছে। আদালতও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। কিন্তু কিছুই হয়নি শেখ আবদুল হাইয়ের। কারণ, তাঁর খুঁটির জোর বেশ শক্ত, খুবই মজবুত।