কপ-২৭ ও বাংলাদেশের প্রত্যাশা
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগেরও বিষয়—জলবায়ু পরিবর্তন, নেট জিরো, বৈশ্বিক উন্নয়ন। এই ঘোরতর বিপদ ঠেকাতে পৃথিবীর মানুষ আজ মরিয়া। পরিতাপের বিষয়, এই বিপর্যয় সৃষ্টিকারী শিল্পোন্নত দেশগুলো আসন্ন এই বিপদ নিয়ে নিস্পৃহ ও উদাসীন।
এই প্রেক্ষাপটে মিসরের শারম-আল-শেখে ৬ নভেম্বর, ২০২২ থেকে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতিসংঘের ২৭তম জলবায়ু সম্মেলন / ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস’ (‘কপ-২৭’)। এবারের সম্মেলনে ১৯০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়ছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে। আমাদের পৃথিবী দ্রুতগতিতে ওই বিন্দুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে পৌঁছলে জলবায়ু বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। আমরা জলবায়ু নরকের মহাসড়কে উঠে পড়েছি। আমাদের পা আছে চলমান সিঁড়িতে।’
২০২১ সালে গ্লাসগোতে (স্কটল্যান্ড) অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৬’-কে অনেকে ব্যর্থ বলে অভিহিত করেছিলেন। আবার কেউ কেউ একে কিছুটা হলেও সফল বলেছিলেন। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডেভ রে ‘কপ-২৬’ মূল্যায়নে বলেছিলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে দেখলে একে সফল বলতে হয়। আর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার তাৎক্ষণিক সফলতার বিচারে ‘কপ-২৬’-কে ব্যর্থই বলা যায়।”