সাইবার হামলায় ২০ লাখ ডলার মুক্তিপণ
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস 'দ্য স্টেট অব র্যানসামওয়্যার ইন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোডাকশন' নামে নতুন জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন মতে, অন্য যেকোনো খাতের চেয়ে সাইবার হামলায় সর্বোচ্চ মুক্তিপণ দিতে হয়েছে উৎপাদন খাতে যার পরিমাণ ২০ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। র্যানসামওয়্যার ২০২২ সমীক্ষায় ৩১টি দেশের মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার ৬০০ জন আইটি পেশাদারের ওপর জরিপ করা হয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদন ও নির্মাণ খাতের ৪১৯ জন উত্তরদাতা ছিলেন।
সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, ৬৬ শতাংশ উৎপাদন এবং নির্মাণ খাতে সাইবার আক্রমণের জটিলতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এসব আক্রমণে জটিলতাও বেড়েছে। সফোসের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন শিয়ের বলেছেন, 'সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ মাধ্যমের সুবিধা থাকার কারণে উৎপাদন খাত সাইবার অপরাধীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। পুরোনো অবকাঠামো এবং পেশাগত থেরাপিস্টের পরিবেশে পর্যবেক্ষণের অভাবে আক্রমণকারীরা সহজেই নেটওয়ার্কের ভেতরে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যায়। আইটি এবং ওটি এক হওয়ায় আক্রমণের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি এসব হামলার হুমকি আরও জটিল করে তুলেছে।' সফোস জানাচ্ছে, র্যানসামওয়্যার হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকতে নির্ভরযোগ্য ব্যাকআপ থাকা খুব প্রয়োজন, সেই সঙ্গে র্যানসামওয়্যার হামলার হুমকি মোকাবিলায় পরিকল্পনা থাকা জরুরি। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তির দ্বারা এটি পরিচালনা করে হুমকি মোকাবিলা করতে হবে। জটিল আক্রমণগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাপক সুরক্ষার প্রয়োজন হয়। সক্রিয় আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি আক্রমণ প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত ম্যানেজড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (এমডিআর) টিম যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- সাইবার নিরাপত্তা
- মুক্তিপণ