নদী খুন হলে মানুষেরও সর্বনাশ

www.ajkerpatrika.com অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৩২

নদীর পানি প্রবাহের ওপরই বাংলাদেশের জন্ম। নদী বিপন্ন হলে তাই বাংলাদেশের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়। নদী হারানোর সর্বনাশ এক-দুই বছরে, এক-দুই দশকে বোঝা যায় না। কয়েক দশকে বাংলাদেশে জিডিপি যে বহুগুণ বেড়েছে তার হিসাব আমাদের কাছে আছে, কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশের প্রাণ এই নদীমালার কতটা জীবনহানি ও জীবনক্ষয় হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যানগত হিসাব আমাদের কাছে নেই। কংক্রিটকেন্দ্রিক তথাকথিত ‘উন্নয়নের’ বড় শিকার দুই দেশেরই নদীমালা। বাংলাদেশ অংশে নদীর বিপন্নতা ঘটেছে তুলনায় অনেক বেশি। একতরফা আক্রমণে বাংলাদেশের অসংখ্য ছোট নদী এখন একেকটি মৃতদেহ। আর বৃহৎ চার নদী—পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও তিস্তা এখন বিপর্যস্ত এবং আরও আক্রমণের মুখে।


বাংলাদেশের নদীগুলো যেভাবে খুন


হচ্ছে, সেগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: ১. ভারতের অন্যায় একতরফা আগ্রাসী তৎপরতা, ২. বাংলাদেশের নদীবিদ্বেষী উন্নয়ন-কৌশল এবং ৩. রাজনৈতিক ক্ষমতায় নদী দখলদারদের আধিপত্য।


প্রথমত, ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন ৫৪টি নদী। এগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ছোট নদী,  শাখা নদীর সংখ্যা বাংলাদেশে আগে ছিল সহস্রাধিক। এখনো দুই শতাধিক নদী কোনোভাবে বেঁচে আছে। ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে ভারতের যে যাত্রা শুরু, তা গত ৪০ বছরে এমন স্থানে পৌঁছেছে যে বৃহৎ নদী পদ্মা ও সম্পর্কিত অসংখ্য ছোট নদী খাল-বিল বিপর্যস্ত। ফারাক্কা বাঁধের কারণে পদ্মা নদীর বড় অংশ এখন শুকিয়ে গেছে। ভারসাম্যহীন পানি প্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের বিশাল অঞ্চলের কৃষি। সেচের জন্য চাপ বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর, যা দীর্ঘ মেয়াদে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে।


শুধু তা-ই নয়, পদ্মা নদীর এই ক্ষয় তার সঙ্গে সংযুক্ত নদীগুলোকেও দুর্বল করেছে। এই প্রভাব গিয়ে পড়েছে সুন্দরবন পর্যন্ত। সুন্দরবনের কাছে নদীর প্রবাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় লবণাক্ততা বেড়েছে, তাতে ক্রমাগত ক্ষয়ের শিকার হচ্ছে বনের জীবন। অন্যদিকে ফারাক্কার বিষক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশেও পড়ছে। একদিকে পানিশূন্যতা, অন্যদিকে অসময়ের বন্যা এবং অতিরিক্ত পলি।  বিহারের মানুষ শাবল নিয়ে মিছিল করেছেন ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও