কাতুকুতু দিলে মানুষ হাসে কেন
ছোট বাচ্চাদের আদর করতে গিয়ে আমরা অনেকেই তাদেরকে কাতুকুতু দেই। বড়দেরকেও কাতুকুতু দেওয়া হয়, তবে সেটা নির্ভর করে পরিস্থিতি, ব্যক্তি ও তার সঙ্গে সম্পর্কের ওপর।
কাতুকুতুর একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অন্য কেউ আমাদেরকে কাতুকুতু দিলে আমরা হাসি, কিন্তু নিজেরা নিজেদেরকে কাতুকুতু দিলে হাসি আসে না। কাতুকুতু সম্পর্কিত এমন আরও কিছু রহস্যের কূলকিনারা করার চেষ্টা হবে এই লেখায়।
কাতুকুতু কীভাবে লাগে
আমাদের ত্বকের সবচেয়ে ওপরের অংশের নাম এপিডার্মিস। এই অংশটির নিচে থাকে হেয়ার ফলিকলস, ঘাম গ্রন্থি, পেশী ও বিভিন্ন নার্ভের প্রান্ত। নার্ভপ্রান্তগুলো নার্ভ ফাইবারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই নার্ভ ফাইবার দিয়েই আমাদের শরীরের কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেম গঠিত। কোনো কিছু যখন আমাদেরকে স্পর্শ করে, তখন এই নার্ভপ্রান্ত আমাদের ব্রেনে সংকেত দেয়, যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি স্পর্শিত বস্তুটি ঠাণ্ডা না গরম, কিংবা সেটির চাপ কেমন।
কাতুকুতু দেওয়ার সময় যেভাবে স্পর্শ করা হয়, সেটা খুবই মৃদু স্পর্শ। কিন্তু এই মৃদু স্পর্শ কেন আমাদেরকে হাসতে উদ্বুদ্ধ করে?