নাদিয়া ও শাহেদের ‘বিষয়টা ব্যক্তিগত’
শহরকেন্দ্রিক মায়েরা অবসরে যাওয়ার পর কেমন থাকেন? চাকরি বা উদ্যোক্তা থেকে অবসর বয়স্ক মায়েদের যাপিত জীবনে সুখ-দুঃখ আড়ালেই পড়ে থাকে এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে। নিঃসঙ্গ মাকে সময় দেওয়ার ব্যাপারে উদাস সবাই। চার দেওয়ালের মাঝে মা যখন একা বোধ করেন। একটু সময় কাটানোর জন্য কারো সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন—এটাই মেনে নিতে পারেন না মৃত্তিকা।
শাশুড়ি মায়া চৌধুরীর সব কিছুতেই আড়ি পাতেন। বউ মৃত্তিকার কানপড়া শুনে-পিয়ালের হঠাৎ পরিবর্তন লক্ষ্য করে মায়া চৌধুরী। ভালো করে কথা বলছেন না। একদিন বিকেলে সেই লোককে বাসার ছাদে দেখতে পান মৃত্তিকা। মৃত্তিকা জরুরি কল করে পিয়ালকে আসতে বলেন। পিয়াল অফিসের জরুরি মিটিং ফেলে বাসায় আসেন।
ছাদে গিয়ে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠেন—লোকটি মায়ের হাত ধরে তুমি করে কথা বলছেন। কী যেন অনুরোধ করছেন। মায়া কান্না করছেন। মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। মায়া লোকটির বুকে মাথা লুকান। এ দৃশ্য দেখে পিয়াল উত্তেজিত হন। হাততালি দিতে দিতে মায়া চৌধুরীকে ভর্ৎসনা ও অপমান করতে থাকেন।
মাকে সন্দেহ করার জন্য পুরো পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। মায়া চৌধুরীর জীবনে এমনি এক বাঁক পরিবর্তন ঘটে, যা অকল্পনীয়। কী সেই ঘটনা? জানতে হলে দেখতে হবে টেলিফিল্ম ‘বিষয়টা ব্যক্তিগত’। টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন কবি ও নাট্যকার মিজানুর রহমান বেলাল। পরিচালনা করেছেন আদিত্য জনি।