বুয়েটছাত্র ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না
বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশকে সর্বশেষ দেখা গেছে ঢাকার রামপুরায়, তার মোবাইল ফোনটি তারপর এগিয়েছে সদরঘাটের দিকে, সর্বশেষ জানা অবস্থান কেরানীগঞ্জে; আর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা নদীতে।
তিন দিন আগে নিখোঁজ ফারদিনের লাশ কীভাবে সেখানে গেল? তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে কোথায় তাকে হত্যা করা হয়েছে? খুনি কারা? সবই এখনও ধোঁয়াশা পুলিশের কাছে।
বুয়েটের পুরকৌশলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন থাকতেন পরিবারের সঙ্গে ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে। কাজী নূর উদ্দিন রানার তিন ছেলের মধ্যে ফারদিন সবার বড়।
ফারদিন গত শুক্রবার দুপুরে বাসায় খেয়ে বেরিয়েছিলেন বলে জানান তার বাবা নূর উদ্দিন। বাসায় মা’কে বলে গিয়েছিলেন, শনিবার পরীক্ষা আছে, তাই বন্ধুদের সঙ্গে একত্রে পড়াশোনা করবেন হলে থেকে। পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরবেন শনিবার বিকালে।
কিন্তু শনিবার পরীক্ষায় ফারদিন ছিলেন অনুপস্থিত। তখন তার বন্ধুরা সেটা পরিবারকে জানালে উদ্বেগাকূল হয়ে পড়েন তার বাবা-মা। কোনো খবর না পেয়ে নূর উদ্দিন রামপুরা থানায় ছেলের হারানোর বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সেই জিডির তদন্তে গিয়ে ফারদিনের রামপুরা থেকে সদরঘাটের দিকে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিডির পরেই আমরা কাজ শুরু করি। মোবাইল ফোনের লোকেশন অনুযায়ী সে (ফারদিন) রামপুরা থেকে জনসন রোড হয়ে সদরঘাটের দিকে গেছে বলে আমরা লাশ উদ্ধারের আগেই জানতে পারি।”