কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কেন?

বার্তা২৪ কবির য়াহমদ প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৪৬

গত সপ্তাহে চিনি কিনেছিলাম ৯৮ টাকা দরে, গতকাল বাজারে গিয়ে দেখি দাম চড়েছে ১১০ টাকায়। পেঁয়াজ আগের মতো। সয়াবিনেও বাড়তি দাম। গুড়ো দুধের দাম জিজ্ঞেস করতে মাথায় হাত, প্যাকেটে বেড়েছে ৩০ টাকা। বললাম, প্যাকেটে তো আগের দাম; বাড়তি রাখবেন কেন? জবাবে জানাল, তারা বাড়তি দাম দিয়েও জিনিসপত্র পাচ্ছেন না। কোম্পানির প্রতিনিধিরা নাকি বলছে, আসছে সপ্তাহে দাম আরও বাড়তে পারে। টাকা দিয়ে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। আমাকে পরামর্শ দিয়ে বলল, দরকারমতো জিনিসপত্র নিয়ে যান। দামের এই হালে কিছু নিলাম না, চক্ষুলজ্জায় কেবল ওই দোকান থেকে দুই প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে বের হলাম।


আরেক দোকানের দিকে রওনা দিলাম। পাইকারি দরে জিনিসপত্র বিক্রি করে। দরদাম করলাম। একই হাল। একই বক্তব্য, কোম্পানির লোকজন বলছে আগামী সপ্তাহে দাম বাড়তে পারে, টাকা দিয়েও মালপত্র পাওয়া যাচ্ছে না, সাপ্লাই কম। এরইমধ্যে শোনাল আবার আরেক কথা, দেশের অবস্থা খারাপ, খুব খারাপ। সবখানে একই সুর। বাজারে, জনসমাগমে লোকজনের সঙ্গে কথা বললে এই এক আওয়াজ। দেশে দুর্ভিক্ষ আসছে, মানুষ না খেয়ে মারা যাবে, যাদের টাকা আছে তারা টাকা দিয়েও কিছু পাবে না। বাড়তি দাম পরিশোধের কষ্ট বুকে চেপে, লোকজনের কথা শুনতে শুনতে অতি-প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে ঘরে ফিরলাম।


বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময়ে ঘরে প্রশ্নের মুখে পড়লাম, তবে কি দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেল? না, এমনটা না; এমন উত্তরে আলোচনার সমাপ্তি ঘটাতে চাইলাম। সত্যি কথা বলতে কী, এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনও পড়িনি। কখনও ফিরিনি এমন দাম শুনে, কিন্তু এখন ফিরতে হচ্ছে। কারণ বাজার পরিস্থিতি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে সেখানে আমাদের দিন যাপন কঠিন হয়ে ওঠেছে এরইমধ্যে। কেমন যাবে আগামী এটা ভাবতেই ভয় হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও