বৈষম্য ভুলে গড়ি বাসযোগ্য নগরী
আজ পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস'। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য 'থিঙ্ক গ্লোবাল, প্ল্যান লোকাল'। এর ভাবার্থ এমন- 'বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করি, স্থানীয় পরিকল্পনা করি।' প্রকৃত অর্থেই বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে বৈশ্বিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন এবং সে অনুযায়ী আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে নগর পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
আমাদের মৌলিক চাহিদার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বাসস্থান। কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ নগর, যেখানে নগরায়ণ ও অভিবাসনের হার বেশি, সেগুলো বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। গবেষকদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনও নগরের বাসযোগ্যতা অনেকাংশে প্রভাবিত করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমাচ্ছে। আর বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরী অভিঘাতগ্রস্ত বাস্তুহারাদের ঠাঁই দিতে গিয়ে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। বিপুলসংখ্যক বাস্তুহারা জনগোষ্ঠী জলাভূমি ভরাট করে বসতি বা 'বস্তি' গড়ে তুলছে। সেখানে মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানো শুধু কষ্টকরই নয়; অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বর্জ্য ও পয়ঃনিস্কাশন, খাবার পানি, স্বাস্থ্য প্রভৃতি অব্যবস্থাপনা এবং চাহিদার সঙ্গে জোগানের খাপ খাওয়াতে না পারা ঢাকা শহরকে কম আয়ের মানুষের বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বৈষম্য
- বাসযোগ্য শহর