আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি: রাজনীতির ব্যাধি

www.ajkerpatrika.com চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:২০

দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দেশব্যাপী বিভাগীয় সমাবেশ করছে। যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের দ্বারা কিছু খুচরা হামলার শিকার হওয়া সত্ত্বেও সমাবেশগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর নিষ্ক্রিয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের এই জেগে ওঠায় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও নতুন করে চাঙা হয়ে উঠছেন। নেতাদের কথায়ও বেশ একটা ‘ক্ষমতায় যাব যাব ভাব’ চলে এসেছে। যদিও বিএনপির এই জেগে ওঠায় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কোনো আভাস 
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, বিএনপি এখনো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাইরে কোনো নেতাকে উপস্থাপন করতে পারছে না। আর এটাই এই মুহূর্তে দলটির সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা।


ধরা যাক, বিএনপির আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাসীনেরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকাঠামো ফিরিয়ে এনে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিল, সেই নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল, তারপর কী হবে? কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে কিংবা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে? কিন্তু এর জন্য তো তাঁদের আগে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। আর নির্বাচিত হয়ে আসার আগে রাষ্ট্রপতির দ্বারা সাধারণ ক্ষমা পেতে হবে। এত সব প্রক্রিয়া শেষ করার আগে কে হবেন দলের প্রধান নেতা? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর? বিএনপির অন্য নেতারা তা মানবেন?


এ কথা অনস্বীকার্য যে বিএনপির প্রাণভোমরা হচ্ছে জিয়া পরিবার। সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলটি প্রতিষ্ঠা করার পর এই পরিবারের মাধ্যমেই দলটি বিকশিত হয়েছে, জিয়া পরিবারই দলটিকে পরিচালিত করেছে। এই পরিবারের বাইরের কেউ দলের প্রধান হলে জনসমর্থন ও ঐক্য থাকবে বলে মনে হয় না। কাজেই বিএনপির নেতাদের আস্ফালন কিংবা কর্মী-সমর্থকদের চাঙা হয়ে ওঠা—শেষ পর্যন্ত অন্তঃসারশূন্য হিসেবে বিবেচিত হতে বাধ্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও