সংবিধানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে
১৯৭২ সালের সংবিধান ৫০ বছর পরে আজও আধুনিক। এই সংবিধানের মূলনীতি এবং অনুচ্ছেদগুলোর উৎপত্তি হয়েছিল পাকিস্তানের শাসনামলের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সহযোগীরা যে চিন্তাধারায় রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন, তার প্রতিফলন ঘটেছে ওই সংবিধানে। এজন্য প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সাধুবাদ প্রাপ্য।
তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মূল সংবিধানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমে ইংরেজিতে প্রণীত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় অনূদিত হয়। তখনই বলা হয়েছিল, সংবিধানের মূল বিষয় হিসেবে বাংলা ভাষায় অনূদিত ভাষ্য প্রাধান্য পাবে। সংবিধানে কতগুলো মূলনীতি রয়েছে।
এগুলো বাস্তবায়নের জন্য কতগুলো অনুচ্ছেদ গৃহীত হয়। স্বাভাবিকভাবে নীতিসমূহ লঙ্ঘিত হলে তা সংবিধান বিরোধী বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসনের মাধ্যমে সংবিধানে যেসব সংশোধনী গৃহীত হয়েছিল, সেগুলো সংবিধানের মূলনীতিগুলোই লঙ্ঘন করেছে। ফলে বাংলাদেশ যার ভিত্তিতে স্বাধীন হয়েছিল তার বিপরীত ধর্মী রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াও উন্মুক্ত হয়। সুতরাং সংবিধানের মূলনীতিগুলোকে অক্ষুণ্ণ রাখার বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল লক্ষ্যকে বিচ্যুত করে। প্রথমে এ বিষয়টি ঠিক করা জাতীয় কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।