নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রে সমাজের ক্ষতি হয়

কালের কণ্ঠ জয়ন্ত ঘোষাল প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:১৩

ভারতের স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম প্রজন্মের চিন্তাবিদ হিসেবে গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক একটি বিশিষ্ট নাম। ৮০ বছর বয়সে এসেও গায়ত্রী এখনো ভারতের নিম্নবর্গের গণতন্ত্র নিয়ে শুধু তাত্ত্বিক গবেষণাই করেননি, তিনি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সেবামূলক কাজও করছেন।


এহেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক—তাঁর ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের রহস্য’ নিয়ে আলোচনায় দুটি মজার গল্প বলেছেন। প্রথম গল্পটি পুরুলিয়ার আর দ্বিতীয় গল্পটি কলম্বিয়ার।


পুরুলিয়ার গল্পটি সেই সময়ের, যখন তিনি সেখানে পড়াতেন। খুব ছোট্ট একটি গল্প—শিক্ষক দেবু পাণ্ডার বউ এক দিন হঠাৎ অপরের একটি বাইকে চেপে গ্রামে গায়ত্রী দেবীর কাছে এসে বললেন, ‘সিপিএম বলেছিল স্টেট বাসের ড্রাইভার করবে, কাজ খালি হলো, কিন্তু দিল না। আমরা বিজেপি হলাম। এখন সিপিএম বাড়িতে ইট ছুড়ছে। ’ গায়ত্রী দেবীর বক্তব্য—এটিই সর্বত্র হয়। ওপরে ও নিচে, সব রঙেই এটি হয়। গায়ত্রী দেবীর বক্তব্য—এটিই সর্বত্র হয়। ওপরে ও নিচে, সব রঙেই এটি হয়।


এরপর আসি কলম্বিয়ার গল্পে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়ত্রী দেবীর ক্লাসের দর্শনের সেরা ছাত্রটি যেকোনো লেখাকে নিংড়ে তার সারমর্ম জানিয়ে দিতে পারতেন। সেই সর্বশ্রেষ্ঠ অন্যতম সাদা ছেলেটি গায়ত্রী দেবীর লেখা ভারতের গণতন্ত্র সম্পর্কিত রচনাগুলো পড়েন। একদিন গায়ত্রী দেবী তাঁকে বলেন, ‘তুমি যেভাবে আমার অতীতের লেখাগুলো পড়ে অনায়াসেই তার সারমর্ম আমাকে ফিরিয়ে দাও, ঠিক সেভাবেই ভারতীয় গণতন্ত্রটি যদি একটু বোঝাতে পারো। ’ সেই স্থির, বুদ্ধিমান, কোমলপ্রাণ ছেলেটি গায়ত্রী দেবীর অফিসে এসে তাঁর সামনে বসে হাপুস নয়নে কাঁদতে লাগলেন। তখন গায়ত্রী তাঁকে বললেন, ‘বাবা, আমি তোমার মা-ও নই আর সাইকো অ্যানালিস্টও নই। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্র বুঝতে গিয়ে তুমি যখন কাঁদতে পেরেছ, কোনো দিন হয়তো পারবে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। ’ এটি ছিল গণতন্ত্রের রহস্য নিয়ে আলোচনায় গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের শেষ গল্প।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও