প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ জয়-লেখক!
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহু কাঙ্ক্ষিত এ সম্মেলন। সম্মেলন ঘিরে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস দেখা দিলেও ‘ভারপ্রাপ্ত’ থেকে ‘ভারমুক্ত’ হওয়া আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ছাত্রলীগের যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সেটি ধারণ করতে পারেননি জয়-লেখক!
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। ধারাবাহিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, অভিযোগ ও সমালোচনার মুখে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। সংগঠনের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং বিতর্কমুক্ত করতে ‘ভারপ্রাপ্ত’ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দুই শীর্ষ নেতাকে ‘ভারমুক্ত’ করে পূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
‘ভারপ্রাপ্ত’ ও ‘ভারমুক্ত’ হয়ে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা ও নির্দেশনা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন জয় ও লেখক। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিস্বার্থে সংগঠন পরিচালনা করেছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। বিতর্কমুক্ত সংগঠন উপহার দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও উল্টো তাদের কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।