ক্ষমতার বলয়ে ১৩ বছর, আওয়ামী নেতৃত্বে নতুন মুখ কম
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলটি নিয়মিতভাবে চারটি জাতীয় কাউন্সিল করেছে। এতে কেন্দ্রীয় রাজনীতি সুসংগঠিত হয়েছে, বেড়েছে নেতৃত্বের বলয়। দীর্ঘ ৭৩ বছরের রাজনৈতিক দলটির প্রতি সমর্থকদের পাশাপাশি বেড়েছে দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা। দুর্দিনে দলের পাশে থাকতে প্রস্তুত এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও এখন কম নয়। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে দলটির ২২তম জাতীয় কাউন্সিল।
টানা এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকলেও অতীতে দলটির নতুন নেতৃত্বে দুর্দিনের অনেক নেতার ঠাঁই হয়নি বলে একটা ‘অনুচ্চারিত’ অভিযোগ আছে। গত চার সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির ৩১২ পদের মধ্যে মাত্র ২৪.৬৭ শতাংশ ছিল নতুন মুখ। কমিটিগুলোতে বেশি হয়েছে পদের রদবদল। অর্থাৎ ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিরা পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছেন। দেখা গেছে, ২১.১৫ শতাংশ নেতার পদ পরিবর্তন হলেও তারা কমিটিতে থেকে গেছেন। আগের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এমন নেতার সংখ্যা খুব কম। অঙ্কের হিসাবে সেটি কেবল ১৯.২৩ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বরাবরের মতো কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক পদে দুই বার পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৮ সালের এক/এগারোর জরুরি সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয় লাভের পর দলের জাতীয় সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব উপহার দেন শেখ হাসিনা। তখন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মতের বিরুদ্ধে অবস্থান করে সংস্কারপন্থী হওয়ায় বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে যদিও কয়েকজনকে ফেরান শেখ হাসিনা। ১৮তম ও ১৯তম সম্মেলনে কার্যনির্বাহী সংসদ ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট এবং ২০তম ও ২১তম জাতীয় সম্মেলনে কার্যনির্বাহী সংসদ করা হয় ৮১ সদস্যের। চারটি সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব এসেছে তুলনামূলক কম। আগের কমিটির লোকদেরই নতুন কমিটিতে রেখে দেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল।