![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.ajkerpatrica.net/contents/cache/images/720x0x1/uploads/media/2022/11/05/74aee992181bb8b64c4e663a0a5d81df-6365e1a9b5e32.jpg)
জ্বালানির পর খাদ্য নিয়ে শঙ্কা
সরকারি গুদামে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্যশস্যের মজুত গড়ে তোলা হয়েছে। রাশিয়া থেকে কেনা ৫ লাখ টন গমের ১ লাখ টন ইতিমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। আমদানির পাইপলাইনে আরও খাদ্যশস্য রয়েছে। তারপরও দুশ্চিন্তা রয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী গম আমদানি নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক মাস ধরেই বলে আসছেন এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি আবারও বলেছেন খাদ্যসংকট তথা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা। এর পরদিন জাতীয় সংসদেও খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ সংকটের আশঙ্কার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে জ্বালানির সংকট অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল, গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প জ্বালানির সংকটে জর্জরিত। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে বলে খবর বেরিয়েছে।
অক্টোবরের খবরও ভিন্নতর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খুব শিগগির এই সংকট কাটছে না। কারণ, বিশ্ববাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার টানাটানি থাকায় প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না।
চলমান এই জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে আগামী বছরের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে—যে বিষয়ে বারবার বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেবে। দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষও। এর বড় কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধরত ওই দুটি দেশ থেকে পৃথিবীর মোট চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ গম এবং বিপুল পরিমাণ ভুট্টা ও ভোজ্যতেল রপ্তানিতে দীর্ঘ মেয়াদে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- আমদানি
- খাদ্যশস্য
- জ্বালানি সংকট