জেলহত্যা দিবস : জীবন লম্বা নয়, বড় হওয়া জরুরি
কয়েকবছর আগে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর একবার পরিত্যক্ত কারাগারে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সুযোগটি আমি মিস করতে চাইনি। পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে দুটি ঐতিহাসিক স্থান দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। একটা হলো বঙ্গবন্ধু কারাগারের যে সেলে থাকতেন সেটি, আর চার নেতাকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল সেই জায়গাটি।
তখন কাজ চলছিল বলে বঙ্গবন্ধুর সেলটি দূর থেকে দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তবে চার জাতীয় নেতাকে যে সেল হত্যা করা হয়েছিল, এখন যেটি ‘মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ স্মৃতিকক্ষ’ হিসেবে সংরক্ষিত, সেটি দেখার সুযোগ হয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের যে অভিশপ্ত সেলে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তার কথা শুনেছি অনেক, ছবিও দেখেছি। কিন্তু কাছ থেকে দেখার যে আবেগ, ৭৫-এর খুনি চক্রের প্রতি ঘৃণা বেড়েছে শুধু।
কারাগার হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। আর সেখানেই কি না মধ্যরাতে একটি জাতির নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল! এখনো সেই সেলের গায়ে গুলির চিহ্ন যেন আমাদের জাতির কপালের কলঙ্কতিলক হয়ে লেগে আছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭৫ সালটি শোকের, বেদনার, গ্লানির, ষড়যন্ত্রের, নিষ্ঠুরতার। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর এই আড়াই মাস সময়ে ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল সবকিছু। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- জেলহত্যা দিবস