কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মোড়ক নতুন, পণ্য পুরোনো

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩৩

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা বিডিপি নামের একটি নতুন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এটা আসলেই নতুন কোনো রাজনৈতিক দল নাকি নতুন মোড়কে পুরোনো মাল মানুষের সামনে হাজির করার কৌশল, সে প্রশ্নও উঠছে। বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এটা জামায়াতে ইসলামীর একটি কৌশল। কেন এমনটা মনে করা হচ্ছে? কারণ নতুন এই দলের যে কয়জন নেতার নাম ইসিতে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বড় পদাধিকারী না হলেও তাঁদের গায়ে কোনো না কোনোভাবে জামায়াতের ছাপ আছে। তবে জামায়াত বলছে, না, তারা নতুন এই দলে নেই, তারা জামায়াত নামেই আছে।


নতুন দলটি নিবন্ধিত হতে পারবে কি? এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের একটি বক্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। ভিন্ন নামে আবেদনের ভিত্তিতে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন পেতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আবেদনকারী দলের কেউ যুদ্ধাপরাধী না হলে, তাদের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে এবং সব শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধন পেতে বাধা নেই।’


নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্য ধরে এমনও বলা হচ্ছে যে এই নতুন দলের পেছনে সরকার বা সরকারের কোনো এজেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি শেষ পর্যন্ত অংশ না নিলে এই নতুন নিবন্ধিত দলকে কাছে টানার কৌশল সরকারের থাকলেও থাকতে পারে। অবশ্য আওয়ামী লীগের মধ্যে এখনো যাঁরা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ধারার সমর্থক এবং নাগরিক সমাজের অনেকেই নাম বদলালেও জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়ার বিরোধী। জামায়াতের বিরোধিতাকারীরা মনে করেন, কালসাপ খোলস বদলালেও তার স্বভাব বদলায় না। জামায়াতও তেমন। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতার কারণে ১৯৭২ সালে জামায়াত নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিলে তারা ‘ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ’ বা আইডিএল নামে রাজনীতি শুরু করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও