কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


তেল-গ্যাস অনুসন্ধান না হওয়ার পেছনে রাজনীতি আছে

ড. ম তামিম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন, পেট্রোলিয়াম প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী। সম্প্রতি দেশে গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

ড. ম তামিম : বিষয়টা তো সবার জানা। গ্যাস নেই, গ্যাস কিনতেও পারছে না। মূল সমস্যা হচ্ছে পয়সা নেই, গ্যাস কেনা যাচ্ছে না। নিজস্ব গ্যাসের সরবরাহ নেই। এই মুহূর্তে কিছু করারও নেই, এটা যেভাবে আছে আপাতত সেভাবেই চলবে। শীতকালে তো নরমালি আমাদের আবাসিক এবং শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ কমে যায়। তবে শীতে বিদ্যুতের পরিস্থিতি অত খারাপ থাকবে না। গত দুই/তিনদিনে একটু ঠান্ডা পড়াতে বিদ্যুতের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে, লোডশেডিং খুবই কম হয়েছে। তো বিদ্যুৎ ঠিক থাকবে কিন্তু শীতকালে আবাসিক এবং কলকারখানায় গ্যাসের সরবরাহ কমবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি দাম কমে এবং যদি সরকার এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা যাবে। তবে আমি আগামী গরমকালের আগে এটার সম্ভাবনা খুব কম দেখছি। 

১৯৯৯ সালের পর থেকে সত্যিকার অর্থে দেশে কোনো তেল-গ্যাস অনুসন্ধান হয়নি। আজ প্রায় ২২ বছর হয়ে গেল। যে দু-চারটি অনুসন্ধান হয়েছে, কূপ খনন হয়েছে সেগুলো খুবই নগণ্য। ১৯৯৫ সালের জাতীয় জ¦ালানি নীতির মূল লক্ষ্য ছিল কয়লা উত্তোলন করা। কয়লা উত্তোলন করা হয়নি, কারণ গ্যাস দিয়ে আমাদের তখন চলছিল। পরবর্তী সময়ে গ্যাসের যখন ঘাটতি দেখা দিল তখন কথা উঠল। বিশেষ করে এশিয়া এনার্জি যখন কয়লা উত্তোলন ও স্টোরেজের কথা উঠাল। আমাদের দেশে কয়লার তেমন ব্যবহার ছিল না, সে কারণেই তারা কয়লা স্টোরেজের কথা বলেছিল। পরবর্তী সময়ে তারা কয়লার এক্সপোর্ট থেকে সরে এসে বলেছে, তোমরা যদি কয়লা ব্যবহার করো তোমাদের কাছেই কয়লা বিক্রি করব, যদি পুরোটা নিতে পার তাহলে সবটুকুই নেবে; সেটা না হলে তারা রপ্তানির কথা বলেছে। তবে কয়লার একটা পরিবেশগত রিস্ক আছে। বিদেশি কোম্পানিরা বলেছে এই এনভায়রনমেন্টাল রিস্কটা কঠিন কিছু না। এর ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন আছে, আমরা এটা ম্যানেজ করতে পারব। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সেটা কখনোই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি।

আগের মানে ২০০১ থেকে ২০০৬ যে সরকার ছিল তারা চেষ্টা করেছিল, তখন আন্দোলন হওয়ায় সেটা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর তো ২০১০ বা ২০১১ সালে সরকার ঘোষণা দিল যে কয়লা আমরা উত্তোলন করব না। এরপর থেকে তো কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে আছে। আমি মনে করি কয়লা উত্তোলন বন্ধ হওয়ার মূল কারণটা হলো রাজনীতি। অর্থনীতিও আছে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধান যে হয়নি, এর পেছনেও কিছুটা হলেও রাজনীতি আছে। এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। একটা রাজনৈতিক মহল যাদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই কিন্তু মিশন চালু আছে, তেল-গ্যাসের ক্ষেত্রেও তারা বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করেছে। তো তাদের বিরোধিতার কারণেই ১৯৯৯ সালের পর থেকে দেশে আর কোনো বিদেশি কোম্পানি আসেনি। দুই একটা এলেও কাজ করতে পারেনি। অর্থাৎ বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। সরকার তাদের জন্য সহায়ক হয়নি, আর সেই নীতিও গ্রহণ করেনি। যে কারণে নিজস্ব অনুসন্ধান, উৎপাদন, তা কয়লা হোক বা গ্যাস, কোনোটাই আগায়নি। আমরা বেশি মাত্রায় আমদানিনির্ভর হয়ে গেলাম। ঝুঁকি তৈরি করলাম এবং এখন আমরা তার মধ্যে পড়ে গেলাম। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন