সেনাশাসন নেই, দুর্যোগ থেকে গেল
এই নিবন্ধ যেদিন লিখছি, ততক্ষণে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। প্রাণ ও সম্পদহানির খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে।
মনে পড়ছে- বহু বছর আগে ১৯৮৯ সালে বার্লিনের একটি রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। সামনেই বিশাল একটি পোস্টার; জার্মান ভাষায় অনূদিত আমার নাটকের- 'ওরা কদম আলী'। পোস্টারটি কিছু জার্মান দেখছেন। এক ভদ্রলোক আমার গায়ের রং দেখে এগিয়ে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন- আচ্ছা, বলুন তো, এই দেশটি কোথায়? অদ্ভুত উচ্চারণে বাংলাদেশের নামটা বললেন। আমি ভূগোলটা বোঝানোর চেষ্টা করলাম। ভদ্রলোক চিনতে পারলেন এবং বললেন- হ্যাঁ, এই দেশে বন্যা হয় এবং মিলিটারি ডিক্টেটর আছে। বুঝলাম, মিডিয়ার বদৌলতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং হয়েছে- বানভাসি ও স্বৈরাচারী দেশ।
এর পর ভদ্রলোক বললেন- তোমার দেশ কোথায়? আমি বললাম- বাংলাদেশ। এই যে নামটি দেখতে পাচ্ছ, যাঁর লেখা নাটক, আমিই সেই লোক। তিনি এবার উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন- দুঃখিত। আমার ধারণা ছিল, এটি একটি পানিতে ডোবা দেশ এবং সেখানে সবসময় সামরিক স্বৈরশাসন চলে। সেখানে থিয়েটার হয়? আমি মোটামুটি ধারণা দিলাম এবং তিনি বললেন, থিয়েটারটি দেখতে আসবেন। ভদ্রলোক ঠিকই এলেন; জার্মান ভাষায় অনুদিত একটি বই কিনে আমার জন্য লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন। দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। একসঙ্গে কফি ও ধূম্র পান করতে করতে অনেক কথা হলো। এর মধ্যে নাট্যকার সাঈদ আহমদ যুক্ত হলেন। তিনি বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য সম্পর্কে আরও তথ্য দিলেন।