কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুদলের টার্গেট ডিসেম্বর, জনমনে নানা শঙ্কা

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১১:২১

আগামী ডিসেম্বরকে টার্গেট করে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজনীতি। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বিজয়ের এই মাসে শোনা যাবে জনতার সমুদ্রগর্জন। দলটির জাতীয় সম্মেলনসহ নানা ইস্যুতে মাসজুড়ে থাকবে কর্মসূচি। এগুলোর মধ্য দিয়ে বড় শোডাউনের পরিকল্পনাও হচ্ছে। আবার বিএনপি নেতারা বলছেন, সব বাধা উপেক্ষা করে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হবে। অচল করে দেওয়া হবে রাজধানী। দুদলের এমন ঘোষণায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আগাম তথ্য দিয়েছেন গোয়েন্দারা। এতে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা শঙ্কা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। আগাম ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। এ ব্যাপারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই ছাড়া দেওয়া হবে না।


কর্মসূচি ঘিরেই মাঠ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজপথ। বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে বড় শোডাউন দিচ্ছে বিএনপি। তবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে এখনই সরসরি পালটাপালটি কোনো কর্মসূচিতে যেতে চায় না আওয়ামী লীগ। আপাতত নিজেদের দলীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়েই রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। ডিসেম্বরে দলটির জাতীয় সম্মেলন। এর আগে অক্টোবর ও নভেম্বরজুড়ে তৃণমূল পর্যন্ত দল ও সহযোগী সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজে ব্যস্ত থাকবে তারা। পাশাপাশি বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেবে দলটি। এসব কর্মসূচিতে বড় জনসমাগম বা শোডাউনের পরিকল্পনাও রয়েছে ক্ষমতাসীনদের।


আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, জাতীয় নির্বাচনের এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তাছাড়া বিএনপি এখন যেসব কর্মসূচি পালন করছে, তা তাদের চূড়ান্ত কর্মসূচিও নয়। ফলে এখনই পালটাপালটি কর্মসূচি দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা ঠিক হবে না। তবে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে গেলে বা ‘সহিংস কর্মকাণ্ড’ শুরু করলে তখন মাঠে পালটা কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে এর আগ পর্যন্ত সারা দেশের নেতাকর্মীদের উসকানিতে পা না দিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।


জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপি উন্মুদ হয়ে গেছে। তারা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু এদেশের মহান স্বাধীনতা থেকে সব অর্জন-উন্নয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। কাজেই আমাদের অনেক ধৈর্যের সঙ্গে এগোতে হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এখন সেটিকে কেউ যদি দুর্বলতা মনে করে, তাহলে তারা আহম্মকের স্বর্গে বাস করছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ পালটাপালটি কর্মসূচির রাজনীতি করে না। ডিসেম্বরে আমাদের জাতীয় সম্মেলন। এর আগে আমরা তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করছি। তাছাড়া সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনগণের দল হিসাবে অনেকভাবেই আমরা সভা-সমাবেশ করব। আমরা নিজেদের কর্মসূচি পালন করব। এগুলোকে পালটা কর্মসূচি হিসাবে দেখার সুযোগ নেই।


সরকার কঠোর হলে বড় কর্মসূচি দেবে বিএনপি


ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দশ ডিসেম্বরের ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১১ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ইউনিটে ইতোমধ্যে কর্মসভাও শুরু করেছে। ৯ বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ করার পর প্রত্যাশা অনুযায়ী বড় জমায়েত ঘটিয়ে দেশে ও বিদেশে সাংগঠনিক শক্তি জানান দিতে চায় দলটি। সেক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ করতে চায়। যা আগামীদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে চলমান আন্দোলনে গতি আনতে নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করবে বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তারা জানান, বাকি বিভাগীয় গণসমাবেশে বাধা না দিয়ে সরকার নমনীয় থাকলে বিএনপি হার্ডলাইনে যাবে না। সেক্ষেত্রে ঢাকার সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে আলটিমেটাম দেওয়া হতে পারে। কিন্তু সরকার কঠোর হলে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে। ‘রোডমার্চ’ কিংবা ‘লংমার্চের’ মতো কর্মসূচি দিয়ে সরকার পতনের এক দফা আন্দোনে যাবে।


জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকার বাধা দেবে। কিন্তু সেই বাধা মানুষ মানবে না। যার প্রমাণ চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার গণসমাবেশে জনস্রোত। তবে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে রাজধানীতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি মহাসমাবেশ করতে চাই। সেখান থেকে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।’


জানা গেছে, ঢাকার মহাসমাবেশ নিয়ে নানা শঙ্কায় আছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তাদের মতে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সর্বশেষ শনিবার খুলনার গণসমাবেশে যেসব প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হয়েছে, অন্য বিভাগের চেয়ে ঢাকার সমাবেশে তার চেয়ে বেশি বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করতে হবে। এ অবস্থায় সামনের কর্মসূচিগুলো কতটা শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যেভাবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে তা সরকারকে চাপে ফেলেছে। এ অবস্থায় বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রেও দলীয় নেতাদের সবাইকে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সমাবেশ সুশৃঙ্খল করতে পাঁচশ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করবে। নজরদারি করতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনও ব্যবহার করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও