ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: প্রায় সোয়া ২ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৯:২০

আপডেট:: রাত ১০টা ০৩ মিনিট


আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ


ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করার আগ পর্যন্ত উপকূলীয় ১৫ জেলায় দুই লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।


সেই সঙ্গে অর্ধলক্ষাধিক গবাদি পশুকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলাগুলোর ৭ হাজার ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ২৫ লাখ মানুষ ঠাঁই নিতে পারবে।



আপডেট:: রাত ৯টা ৩৬ মিনিট


সতর্কতা



  • চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে কক্সবাজারের জন্য আগের মতই ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।

  • উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চীদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। এসব এলাকায় ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

  • আর কক্সবাজার জেলা ও তার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। এসব এলাকায় ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

  • এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোলাপলগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

  • আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

  • উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।


আপডেট:: রাত ৮টা ১১ মিনিট


উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব


ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মাঝামাঝি এলাকায় উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।


মোংলা ও পায়রার পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকেও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে কক্সবাজারের জন্য আগের মতই ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।


আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করে সিত্রাং অতিক্রম শুরু করছে। এখন জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বর্ষণ হবে। এটা মাঝারি ঘূর্ণিঝড় ধরনের; বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ৬২-৮৮ কিলোমিটার।”


ধেয়ে আসছে সিত্রাং


সোমবার বেলা ১২টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল।


ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে সে সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সানাউল হক মণ্ডল সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঝড়ের ব্যাস ৪০০-৫০০ কিলোমিটার। ফলে উপকূলীয় অধিকাংশ জেলা এর প্রভাবের আওতায় থাকবে।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মনিটরিং সেল


ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও তদারকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।


মনিটরিং সেলের হটলাইন নম্বরগুলো হল- 1769010986, 02-55029550 ও 02-58153022। ফ্যাক্স নম্বর 02-9102469


প্রয়োজনে সেলের হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও