পারমাণবিক বিদ্যুৎ যে কারণে জরুরি
গত বুধবার পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল তথা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রথম ইউনিটের প্রেশার ভেসেল স্থাপিত হয়েছিল। আমরা জানি, রিঅ্যাক্টর স্থাপন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যে কারণে রিঅ্যাক্টর ভেসেলকে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'হৃদয়' বলা হয়। দ্বিতীয় ইউনিটের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
ঈশ্বরদীর রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলে; ১৯৬১ সালে। তখন পদ্মা নদীতীরবর্তী এলাকায় ২৯২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৬৯-৭০ সালে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সরকারই বাতিল করে দেয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু নতুন করে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো এ নিয়ে আর অগ্রসর হয়নি। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এলো আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ইশতেহারেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ছিল।