উৎপীড়ক প্রেসিডেন্টদের কবল থেকে শ্রীলঙ্কার মুক্তি কীভাবে
শ্রীলঙ্কার মানুষ অত্যাচারী প্রেসিডেন্ট পেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ১৯৭৮ সালে সরকারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সৃষ্ট প্রেসিডেন্ট পদে জে আর জয়াবর্ধনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই পদে যিনিই বসেছেন, তিনিই কোনো না কোনো আদলে বিপজ্জনক স্বৈরাচারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। এমনকি উদার শাসনব্যবস্থা ও শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়া প্রেসিডেন্টরাও শেষমেশ নৃশংস শাসক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
চলতি বছরের ২১ জুলাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে গদিতে বসা রনিল বিক্রমাসিংহের বিদ্যমান শাসনেও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিক্রমাসিংহে (যিনি কিনা ঘটনাক্রমে জে আর জয়াবর্ধনের ভাতিজা) পার্লামেন্টের ভোটের মাধ্যমে পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে বিক্রমাসিংহে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট, যিনি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হননি এবং তিনিই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যিনি একজন পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত হলেন।